নয়াদিল্লিঃ
একুশে বাংলা সহ অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে মিটেছে বিধানসভা ভোট পর্ব। ঘোষিত হয়েছে নির্বাচনের ফলাফলও। এবার একে একে শপথ গ্রহণের পালা। সেই মত প্রায় বাকি সব রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত হলেও, ফলাফল ঘোষণার ছ’দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না অসম। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় ফিরে ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন এমনটাই দস্তুর। কিন্তু অসমের ক্ষেত্রে সেই রীতিতে বদল ঘটার সম্ভবনা প্রবল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে আছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এবং হেমন্ত বিশ্বশর্মা। আজ তাঁদের দুজনকেই দিল্লি ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিশেষজ্ঞ মহলের মত তাঁদের দুজনকে আজ পরস্পরকে মুখোমুখি বসিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সুতরাং অসমের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল, যিনি নির্বাচনী বৈতরণী উতরে দিলেন, সেই তিনিই যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন তেমনটা নাও হতে পারে সেখানে। হেমন্ত বিশ্বশর্মার জনপ্রিয়তাও কম নয়। গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের NDA-কে একজোট করার পিছনে অন্যতম ব্যক্তিত্ব তিনি। তাঁকে সনোয়ালের থেকেও প্রভাবশালী বলে মনে করা হয় সেখানে। তাই বিশ্বশর্মাও মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে।
হেমন্ত বিশ্বশর্মা ও সর্বানন্দ সনোয়ালের মধ্যেকার ঠান্ডা যুদ্ধের কথা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে অজানা নয়। ভোটের প্রাক্কালে বিশ্বশর্মাকে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সেখানে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ছাড়াই ভোট যুদ্ধ হয়েছে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে। তবে যেখানে একে একে সব রাজ্য তাদের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের স্বাক্ষী থাকছে, সেখানে অসমের নেতৃত্বের দাবি, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য অন্যদিকে বিশেষ নজর দিতে পারেনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এমন টানাপোড়েনের মধ্যে আজ, শনিবার দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এই দুই হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে। একদিকে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ না থাকা এবং অন্যদিকে হেমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপির গোটা উত্তরপূর্ব ভারত একজোট করার অন্যতম কারিগর হয়ে ওঠা। ফলত তাঁদের দুজনই মুখ্যমন্ত্রীর আসনের দাবিদার! দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ থাকবে না বলেই এই দিল্লিতে সমনের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১২৬ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট অসমে শরিকদলকে নিয়ে বিজেপি জিতেছে ৭৫টি সিট এবং AIIUDF, কংগ্রেস এবং বাম শিবির একত্রে জিতেছে ৫০টি সিট। অন্যদিকে মাত্র একটি সিট জিতেছে অখিল গগৈ। যিনি এখন জেল বন্দী।
নির্বাহী সম্পাদক