কলকাতা:
দেশবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়া নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরাসরি তা মোদী সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC)। সোমবারের মধ্যে কেন্দ্রকে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
প্রত্যেককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার বন্দোবস্ত করার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন চিকিৎসক ও সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম। এই মামলায় বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। ডাঃ ফুয়াদ হালিম বলেন, “ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অবিলম্বে রাজ্যে অক্সিজেন ও করোনার প্রয়োজনীয় ওষুধের যে কালোবাজারি চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।” সেই মামলা প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, ‘রাজ্যকে কত ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কেন্দ্র? আদালতকে তথ্য দিয়ে জানাক কেন্দ্র।’ মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ মে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলছেন। কেন্দ্রের কাছ থেকে তা কিনে বিনামূল্যে বিতরণের কথাও বলেছেন।
এদিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ভ্যাকসিনের ৯৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ডোজ মজুত রয়েছে । তারা বলেছে, এ পর্যন্ত ১৭ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী তিনদিনের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিনের আরও ৩৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০টি ডোজ তাদের দেওয়া হবে। একইসঙ্গে, ভ্যাকসিনের ব্যবহার নিয়ে কেরলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন নষ্ট কম করে কেরলের স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সত্যিই তা প্রশংসার যোগ্য। কেননা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন নষ্ট না করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’
এদিকে, কো-উইন (Co-WIN) অ্যাপের তথ্য অনুসারে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যের অনেক জেলা তাদের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও কম মানুষকে টিকা প্রদান করেছেন। তবে, রাজস্থান, গুজরাট, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং কেরলের বেশিরভাগ জেলা জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে টিকা দিয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক