Home » কুকুরদের খাওয়ানোয় পশুপ্রেমী খুন, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

কুকুরদের খাওয়ানোয় পশুপ্রেমী খুন, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বারাসত:

প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছিল পশুপ্রেমী তারক আচার্যকে। তিনি তখন কুকুরদের খাওয়াচ্ছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক জগদ্দলে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ভোট ও গণনা পরবর্তী সময়ে যে রাজনৈতিক হিংসাত্মক পরিবেশ চলছে তাতে এমনিতেই সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী। এবার প্রকাশ্যে পশুপ্রেমীকে মারধর ও তাঁর মৃত্যুর জেরে আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, জগদ্দল থানা এলাকার ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের গেটের সামনে প্রতিদিনের মতো কুকুরদের খাবার দিচ্ছিলেন বছর-পঞ্চাশের তারক আচার্য। স্থানীয় কয়েকজন যুবক কুকুরগুলিকে মারে কেন এই নিয়ে তারকবাবু ক্ষোভ জানান। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, তারপরেই যুবকরা তারক আচার্যকে বেধড়ক মারধর করে।

মারধরে গুরুতর জখম হন পশুপ্রেমী তারক আচার্য। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে দেখে ক্ষোভ উগরে দেন। এভাবে প্রকাশ্যে পশুপ্রেমীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধৃতদের খোঁজ চালাচ্ছে জগদ্দল থানার পুলিশ।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই পশুপ্রেমী তারকবাবু রাস্তার কুকুর বেড়ালদের খাবার দিতেন। তাঁকে কেন খুন করা হলো উঠছে প্রশ্ন।

প্রশাসনের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠছে। অভিযোগ, নির্বাচনের সময় ও ফল গণনার পর থেকেই জেলার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল রাজনৈতিক সংঘাতে রক্তাক্ত। বোমাবাজি, রাজনৈতিক খুন, প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফল বের হওয়ার পরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ আরও ছড়িয়েছে। ভাটপাড়া এলাকাতেই বোমাবাজি প্রায় নিত্য ঘটনা। এছাড়া জেলার অন্যত্র চলছে রাজনৈতিক হিংসা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *