বৃহস্পতিবার সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘গত রাত ১১টায় আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও আমার সামনে আসেনি। এলে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ মে) পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে আবেদন করেন তার ভাই শামীম এ স্কান্দার। পরে রাত সাড়ে ১১টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশে চিকিৎসা করানো দরকার বলে জানিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অত্যন্ত মানবিক। আমরা আবেদনটি পজিটিভলি দেখছি। আইনে যে পর্যায়ে আছে, কীভাবে কী করা যেতে পারে, সেসব দেখতে আবেদন আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের মতামত আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে বিএনপি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নির্ধারণের পাশাপাশি গুছিয়ে আনা হয়েছে পারিবারিক অন্যান্য প্রস্তুতিও। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত চিকিৎসকেরা দফায় দফায় তার শারীরিক পরীক্ষা ও মানসিক অবস্থা নিরীক্ষা করছেন। তবে যেহেতু তিনি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তিতে আছেন, এ কারণে সরকার অনুমতি দিলেই কেবল বিদেশে রওনা করতে পারবেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান