Home » এই মুহূর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ কি?

এই মুহূর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ কি?

ফেসবুক কর্ণার:

বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এখনো সফল, ইনশাআল্লাহ, কক্সবাজার জেলা ও এখনো সফলতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে, বিশেষ করে মিউনিসিপালিটি তে এপ্রিলের প্রথম ১৪ দিনের রোগীর চেয়ে শেষ ১৪ দিনের রোগীর সংখ্যা কম এবং মে এর প্রথম সপ্তাহে যে ভাবে বাড়ার আশংকা করা হয়েছিল সেভাবে বাড়ছে না, কারণ হিসেবে কয়েকটি আমার কাছে উল্লেখযোগ্য,
দেশের প্রচলিত লকডাউন, পাশাপাশি আরেকটি ভাইরাস, (গরমকালীন ফ্লো ভাইরাস), অতিরিক্ত গরম ( যা লক ডাউন কে এনহেন্স করছে?) , আর রোজা। এতে আমাদের আগামী ১৪ দিনের একটা একটা কর্ম কৌশল ঠিক করা প্রয়োজন।

#রোগ প্রতিরোধ 
১।এই গরমে যেখানে জনসমাগম বেশী হবে বিশেষ করে ঈদের মার্কেট গুলো তে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, আবদ্ধ দোকানের চেয়ে খোলা বাজার (হকার মার্কেট) বা অনলাইন মার্কেট থেকে কেনাকাটা কে উৎসাহিত করা।
২।মসজিদের ভিতরের চেয়ে খোলা মাঠে, ঈদের নামাজ সহ অন্যান্য বড় নামাজ কে উতসাহিত করা।
৩। মার্কেটের উপসর্গযুক্ত কর্মকর্তা বা মালিক পেলে উক্ত দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, তেমনি মাক্সবিহীন কাউকে পেলে।
৪। ব্যাচ ভিত্তিক পুণর্মিলনী কয়েক বছর ধরে একটা ট্রেন্ড হয়েছে, ঈদের পরে সেই রকম পুণর্মিলনীর অনুমতি না দেওয়া এই মিলনী গুলো তে সারা দেশের একই ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা মিলিত হয়, তেমনি অন্য কোন গেট টুগেদার কে অনুমতি না দেওয়া।
# রোগী ম্যানেজমেন্ট ;
১।আগামী ১৪ দিনের যা রোগী হবে তাদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা। যারা কন্টাক্ট ট্রেসিং মিস হবে রিপোর্ট পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি তাদের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা না যায় তাহলে তাদের মিস আইসোলেশন / কনটাক্ট দিয়ে, মিউনিসিপালিটিতে পুলিশের কাছে ঠিকানা বা নাম্বার দেওয়া আর উপজেলা গুলিতে স্থানীয় সরকার কে বা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার দের ঠিকানা বা নাম্বার দেওয়া, নাম্বার পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে উনারা রোগী ম্যানেজমেন্ট এ সহযোগিতা করতে পারবে।
২। বিগত ১৪ দিনে যারা হোম আইসোলেশনে আছেন, তাদের যথাযথ উপজেলা ভিত্তিক ডাটা তৈরী করা এদের মধ্যে যারা মিস আইসোলেশন থাকবে তাদের উপজেলা ভিত্তিক লিস্ট, পুলিশ বা স্থানীয় সরকার কে দেওয়া।
৩। কোনক্রমেই কক্সবাজার জেলা থেকে পজিটিভ রোগীদের অন্য জেলায় / গ্রামের বাড়িতে যেতে না দেওয়া। তেমনি ভাবে আসতে না দেওয়া। যদি বিনা নোটিশে চলেই যায় তাদের জন্য মুভ আউট / মুভ ইন চালু করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন / স্বাস্থ্যবিভাগ কে অবহিত করা।
৪। যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের টেলিমেডিসিনে সেবা দিয়েছি বলে কিংবা হোম আইসোলেশনে আছে বলে তথ্য না দেওয়া।
৫।টেলিমেডিসিনে রিচ করা না গেলে ফিজিক্যালি এম্বুলেন্স সার্ভিসে চিকিৎসা দেওয়া।
৬। কন্টাক্ট ট্রেসিং সহ চলমান যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির
সহকারী অধ্যাপক,
সংক্রামক রোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *