এত সতর্কতার পরও আইপিএলে ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাস। ভারতের পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ, এই অবস্থায় জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসের উপস্থিতি আইপিএলের ভবিষ্যতের ওপর প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে ২০২১ আইপিএল স্থগিতই করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
আজ (মঙ্গলবার) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা। তাছাড়া আরেক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল নিশ্চিত করেছেন, বর্তমান কোডিভ পরিস্থিতিতে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বন্ধ করা হয়েছে কুড়ি ওভারের প্রতিযোগিতাটি।
পরে অবশ্য অফিসিয়ালি আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খেলোয়াড়, স্টাফ ও অন্য যারা প্রতিযোগিতার সঙ্গে জড়িত আছেন, তাদের ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করতে চায় না’ বিসিসিআই। বিবৃতির পরের অংশে বলা হয়েছে, ‘সব শেয়ার হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের বিষয় মাথায় রেখে এই (স্থগিতের) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
করোনা মহামারীতে মৃত্যুর মিছিল ভারতে। এরমধ্যে আইপিএল চালিয়ে নেওয়ায় বিসিসিআইয়ের কঠোর সমালোচনা হয়েছে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে ছিল। কিন্তু সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাদের ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। পরপরই আসলে চেন্নাই সুপার কিংসেও করোনার থাবা বসানোর খবর।
এই অবস্থায় আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা জন্মে। আর আজ সকালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্রর কোভিড পজিটিভের খবর এলে আরও নড়েচড়ে বসে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে স্থগিতই করে দিয়েছে ২০২১ সালের প্রতিযোগিতা।
গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আইপিএলের ১৪তম আসর। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার আগে শেষ হয়েছে ২৯ ম্যাচ। ৩০তম ম্যাচে এসে হানা দেয় করোনা, যে কারণে স্থগিত হয় কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচ। সে পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই ২ পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে তারা।
বার্তা বিভাগ প্রধান