Home » সবুজ আবেগে ভাঙল করোনা বিধি, মমতার বাড়ি সামনেই ভাঙছে বাঁধ

সবুজ আবেগে ভাঙল করোনা বিধি, মমতার বাড়ি সামনেই ভাঙছে বাঁধ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে শুরু হয়েছে উচ্ছাস। তৃতীয়বার জয়ের দিকে তাঁরা এগিয়ে গিয়েছেন, এই ধরে নিয়েই আনন্দে গা ভাসিয়েছে তৃণমূল দলের সমর্থকরা। কিন্তু এই বাঁধ ভাঙা উচ্ছাসের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে করোনা বিধি। মাস্ক নেই, দূরত্ব বিধি তো নেই। চলছে আবির খেলা, খেলা হবে গান চালিয়ে নাচ, রসগোল্লা খাওয়ানো চলছে। কিন্তু নেই সেই করোনা বিধি।

ইলেকশন কমিশন বলেছিল যে বিজয় মিছিল যেন না করা হয়। ভাঙল সেই বিধি। এই প্রসঙ্গে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে বলব দ্রুত যেন বাড়ি চলে যাওয়া হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মানুষের আবেগকে আটকে রাখা শক্ত। আমরা সেটা চেষ্টা করছি। এই উচ্ছাস বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসার উচ্ছাস’।

যদিও ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেছিলেন, ‘জিতলেও এই জয় আবেগের হবে না। এই জয় হবে দায়িত্বের’। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না।

২ মে রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনের ভোট গণনা হচ্ছে। দুই কেন্দ্রের প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গণনা হচ্ছে না। এই করোনার জন্য এবার প্রচুর বিধি নিষেধ রয়েছে। আগে ইভিএম স্যানিটাইজ করা হয়। নেওয়া হয় প্রার্থী ও যারা ভোট গণনা করছেন তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। তারপর তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়। ২৩টি জেলায় তৈরি করা হয়েছে ১০৮টি ভোট গণনা কেন্দ্র।

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ের দিকে সবথেকে বেশি নজর থাকছে। তবে আরও অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরাও থাকছেন যারা আজ তাদের লড়াইয়ের ফল আজ জানবেন। তালিকায় গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম , মদন মিত্র যেমন রয়েছেন তেমনই রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামানিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো প্রার্থীরা। বামেদের মধ্যে দেবদূত ঘোষ, ঐশী ঘোষ, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, মহাম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষের মতো প্রার্থীরা। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন রাজ চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, অশোক দিন্দা, মনোজ তিওয়ারিরা। সবাই অপেক্ষা করবেন নূন্যতম ১৭ রাউন্ড ঘোষণার দিকে। কারণ
গণনা হতে পারে সর্বনিম্ন ১৭ রাউন্ডে এবং সর্বোচ্চ ৩০ রাউন্ডে।

এখন সমস্ত প্রার্থীদের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল বেরোবার অপেক্ষায় রয়েছেন। একটি গণনার ঘরে সাধারণত ১৪টি টেবিল থাকে। ১৪টি ইভিএমের গণনা হয়ে গেলে তাকে এক রাউন্ড গণনা বলা হয়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *