গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম। আকারভেদে প্রতি পিস ডাব ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও এর দাম আরও চওড়া। হাসপাতালগুলোর সামনে প্রতিটা ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরমে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়া লকডাউনের কারণে নদীপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ। ফলে ভোলা, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ডাবের সরবরাহ কম। যে কারণে বাজারে ডাবের দাম চড়া।
দুপুরে কাওরান বাজার গিয়ে দেখা গেছে, বড় আকারের একটি ডাব ৯০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এই আকৃতির একটি ডাবে এক থেকে দেড় গ্লাস পানি হবে। একই ধরনের ডাব ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। অপেক্ষাকৃত একটু ছোট ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বাজারে এখন ৭০ টাকার নিচে কোনও ডাব নেই।
তার পাশে ডাব বিক্রি করছেন আরেক জন দোকানি। তিনি কিছুটা ঠাট্টা করে বলেন, এখনও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে না। আর দুই দিন গেলে ডাবও কেজি দরে বিক্রি হতে পারে। তরমুজ-আনারস যদি কেজি দরে বিক্রি হয় তাহলে ডাব কী দোষ করেছে?
ঢাকা মেডিক্যালের সামনে ডাব বিক্রি করছেন রাকিব উদ্দিন। তিনি অপেক্ষাকৃত বড় ডাব দেখিয়ে বলেন, একটি ১১০ টাকা। এতে আড়াই থেকে তিন গ্লাস পানি হবে। এর চেয়ে একটু ছোটগুলো দেখিয়ে বলেন, ১০০ টাকা। দাম একটু কম হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে এক কথায় বলে দেন, একদাম! ডাবের ডাম বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার ডাব অনেক বড়। বেশি দামে কিনে আনতে হয়। একটা ডাবে সর্বোচ্চ ১০-১৫ টাকা লাভ করছি। সে কারণে দাম একটু বেশি।
খিলগাঁও রেলগেটে এলাকার ডাব বিক্রেতা ইয়াকুব বলেন, গরমের কারণে বাজারে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। আর ইফতারিতে মানুষ ডাবের পানি খেতে চায়। কিন্তু আড়তে ডাবের সরবরাহ খুবই কম। এ কারণে ডাবের দাম বাড়তি।
বার্তা বিভাগ প্রধান