যেখানে যত বেশি হিন্দু সেখানে যত বেশি হিন্দু সংগঠন তত বেশি মঠমন্দির গুরু শিষ্যরা,এরা সারা বছর একে অপরের বিরোধে কামড়াকামড়ি ছাড়া কোনো কাজই করতে পারে না, আর একহিন্দু নির্যাতিত হলেই হিন্দু সংগঠনগুলো মঠমন্দির গুরু শিষ্যরা কয়েকদিনের কর্মসুচি হয় টুকরো টুকরো মানবন্ধন আন্দোলন আরো কতো নাটক . অনেকটা শুকুনের গো মাংস পাওয়ার প্রতিক্ষার মতো,আমরা শুধু মাত্র আমাদের আমিত্ব স্বার্থটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটি সার্বজনীন সত্তাকে অকাল ফাঁসি দিয়ে দিচ্ছি,শত শত বছর-এ লক্ষ লক্ষ হিন্দু বিলুপ্তিতে ও এবারও কি সেই সকল হিন্দু সংগঠন মঠমন্দিরের গুরুশিষ্যের একটি বারের জন্য হলেও করুণা হয় না ? দয়া হয় না ? এই সার্বজনীন সত্তাটাকে বাঁচিয়ে রাখার. আমি কারো বিরোধে কথা বলছি না,আমি কারো দলে গিয়ে আমার শক্তি বৃদ্ধি করারও কোনা ইচ্ছে নেই , আমার বড্ড আফসোস হয়, আমাদের মানবিকতা সারা ব্রম্মান্ডকে এক করতে চাইলেও আমাদের হিন্দু সমাজ ব্যবস্থার কুসংস্কার মুক্ত ও সংঘবদ্ধ করার কাছে আমরা কেন ব্যবহার করতে পারি না ? এভাবে যুগ যুগ ধরে চলতে থাকলে একদিন হিন্দু সমাজ এই পৃথিবী ছেড়ে মিউজিয়ামে স্থান নিবে এ আর বেশি বাকি নেই, আসুন স্বার্থ না দেখে অস্তিত্ব রক্ষায় সংঘবদ্ধ হয়ই,যে যার মতো ধর্মীয় চেতনা লালন করি,সনাতন ধর্মত্ব বহুবাদের ধর্ম, এখানে নিজের আদর্শকে অন্তরে লালন করে অস্তিত্ব রক্ষায় কি সংঘবদ্ধ সহমর্মিতা ক্ষমা ধৈয্যশীল হওয়া যায় না ? আমরা কি পারি না হিন্দু সমাজের কুসংস্কার গুলোকে দূরে ঠেলে সনাতনী বহুত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করতে রক্ষা করতে হিন্দু সমাজর এই অবক্ষয় থেকে ? নাকি দালালী চামচামি ছাড়া এই জাতির মানবিকতা রক্ষা হয় না ? একজন সনাতনী আরেক জন সনাতনীর কাছে নিরাপদ না হলে বিপদে একে অপরের পাশে না দাঁড়ালে,কি হবে এই ফুলঝুড়ি মানবিকতার জয় গান গেয়ে, আমাদের মানবিকতা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টানকে এক করতে মানবিকতা কাজ করে,কিন্তু এই মানবিকতা হিন্দু সমাজের মধ্যে কাজ করে না কেন ? আসলে এখানে স্বার্থের লড়াই ভাগাভাগি কামড়াকামড়ি ছাড়া কি চলবে. আসুন মানুষ্যত্ব জাগ্রত করি,হাজার বছরের এই অনিয়ম সমাজের সুসংস্কার একদিন কয়েক বছরে দূর করা সম্ভব নয়,কেবল সকলের মিলিতো প্রচেষ্টাই পারেই সমস্যা গুলোকে বের করে অল্প অল্প স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে প্রতিষ্ঠিত করতে একটি মানবিক সমাজিক বিবেকবান সমাজ !
👉🏻 সনাতনীদের বিলুপ্তি কিছু কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য
ধর্মান্তর বা কনভারশন : (Conversion) শব্দটি প্রাচীন কালে কোনো রুপ শুনা যায়নি ও প্রাচীন কালে ধর্মান্তর হয়েছে তার কোনো নজির পাওয়া যায়নি তবে মধ্যযুগে শেষভাগে ধর্মান্তর বা কনভারশনের সূচনা লগ্ন বলা যেতে পারে ! ধর্মান্তর বা কনভারশন হলো কোনো এক ব্যক্তি জন্মের লগ্নের সাথে সাথে প্রাপ্ত ধর্মের ধর্মীয় রীতি নীতি দর্শন আদর্শ বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে অন্যকোনো মতো বা ধর্ম ধর্মীয় রীতি নীতি দর্শন আদর্শ বিশ্বাসকে নিজের করে স্বীকার করা ! মধ্যযুগে ও আধুনিক কালেও ধর্মান্তরিত বা কনভারশন হওয়ার মূল্য কৌশল গুলোর যে বিশেষ কারণ এবং এই সকল সমস্যা থেকে সমাজকে রক্ষার উপায়গুলোর একটি ধারনা দিতে চেষ্টা করছি !
👉🏻 ধর্মীয় অজ্ঞতা : সনাতন সমাজের এই অবক্ষয় ধর্মান্তর নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই ধর্মীয় অজ্ঞতা ও ধর্মীয় অপপ্রচারকে কে দায়ী করতেই হয় ! একটি শ্রেনী সুকৌশলে সনাতন ধর্ম ও হিন্দু জাতির বিশ্বাস সত্তা আদর্শ ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে যুগের পর যুগ খেলা করছে সেখানে সনাতনী ধর্ম যাজকরা নীরব কাঠের পুতুলের মতো সহ্য করে যাচ্ছে, প্রকৃত সত্য বিশ্বাস ধর্মীয় অনুভুতি সার্বজনীন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বকে নিয়ে স্বস্বার্থে লুকোচুরি করেছেন ! এখনও সনাতন ধর্মে পবিত্র বেদ শ্রী গীতা মহাভারত রামায়ণ নিয়ে মতবিরোধ, মুর্তি পুজার পক্ষে বিপক্ষের মতো বিরোধ, রাম ভক্ত শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের বিরোধ,বৈষ্ণব অবৈষ্ণবের বিরোধ, এনিয়ে সুশীল জনের কোনো মাথা ব্যাথা নেই, স্বসমাজ স্বধর্মকে এতো বিপর্যয় করে সর্ব জাতি ও সর্ব ধর্মের সমদ্বয়কারী মালা তিলক টিকী একাদশীতে পালন করে মাতুয়ারা, সবারই এটাই লক্ষ্য স্বর্গের টিকেট কি করে পাওয়া যায় ? এই স্বর্গের টিকেটের কামনার লোভে এরা চির সত্যকে উপেক্ষা করে মরিচার পিছনে ছুঁটে চলছে,সেই সব নির্বোধ লোকের কখন যে কান্ডজ্ঞান হবে ? যারা সাকার ইশ্বরকে বিশ্বাস করে তারা
ইশ্বরের স্বরুপ তিনটি সত্তা ব্রম্মা বিষ্ণু মহেশ্বর অভিন্ন হিসাবেই মনে করে,কিন্তু কিছু লোক ব্রম্মা বিষ্ণু মহেশ্বরকে বিকৃত করে কাম্যপুরুষ হিসাবে পুরাণে প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে সেই সকল পুরাণের উৎপত্তি সময়কাল কবে কখন কার ধারা হলো তা বের করলেই প্রকৃত সত্য বের করা যায় কি ? কিন্তু এই ধর্ম যাজকের একচুলও চিন্তা নেই নিজেদের লক্ষ্য পূরণ হলেই হলো,আর কিছু বিজ্ঞজনরা তো নিজেদের ব্যবসায় শাখা আর শিষ্য বাড়ানোকেই মোক্ষম মনে করছেন এসব আমিত্ববাদীরাই সনাতন সমাজের বারটা বাজিয়ে ছাড়া এদের থেকে সজাগ থাকতে হবে ,অনেকে আবার বললেন বেদ উপনিষদ শ্রীগীতা মহাভারত রামায়ন লিপিবদ্ধকারীরাই নাকি সেই সকল বিতর্কিত পুরাণের লিপিকার তবে সত্যই যদি বেদ উপনিষদ শ্রীগীতা মহাভারত রামায়ন লিপিবদ্ধকারীরাই পুরাণের লিপিকারক হতো তবে বেদ উপনিষদ শ্রীগীতা মহাভারত রামায়ন মতো নির্ভুল হতো ভাষাগত শব্দ চয়নে,এই বিতর্কিত বিষয়ের সঠিক সমাধান বের না করার জন্যই সনাতন ধর্ম ও হিন্দু জাতির অসাধুরা নিজের স্বার্থ উদ্ধারে যুগ যুগ ধরে মরিয়ে,যা প্রকৃতি হিন্দুত্বকে সার্বজনীন ও মানবতার শ্রেষ্ঠত্ব পাঠশালাকে ব্যক্তি স্বার্থের জন্ম দিচ্ছে এবং বর্তমান ভবিষ্যত ও অতিতের সৌনালী ইতিহাসে কলংঙ্কিত করে তুলছে যা নিজের ধর্মকে বিষাদের কারণ, আর এই বিষাদের কারণ টুকুই ভিন্ন ধর্মের লোক মুখোষের আড়ালে সামাজিক যোগাযোগ ও সামাজিক সেবামুল্যক কাজের মাধ্যমে সুকৌশলে সনাতন ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত করার পথ সুগম্য করছে! সনাতন ধর্মের সত্তা ভগবান অবতারের স্বরুপকে বিকৃত করে শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাম দেবদেবীদের কাম্য পুরুষ রুপে প্রকাশ করানোই যেন একটি শ্রেনীর কর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে তা অধর্মজ্ঞ হিন্দু বলেন আর বিধর্মী ! হিন্দু সমাজে মানুষ মানুষের প্রতি বিশ্বাস ধৈর্য ক্ষমা সাহায্য সহযোগীতা ভ্রাতৃত্ববোধ সামাজিক মূলবোধ নারী সমাজ ধর্ম জাতির প্রতি দায়্যদায়িত্বহীন ইশ্বর ভগবান দেবদেবী ধর্মগুরু মহাপুরুষ সাধুসান্তুকে উন্মাদ নারীলোভী মদখোর গাঁজাখোর অধার্মিক হিন্দু সমাজের নিচু বর্ণের সাধে অনৈতিক আচরণকারী প্রচার করে হলিউড বলিউড নাটক টেলিফ্লিমের এক নিত্যনৈত্যিক ব্যাপার এবং সেগুলো হিট করার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ! অপর দিকে অন্যসব জাতি ধর্মকে নিয়ে মানবিক দানবীর ত্যাগী ক্ষমাশীল ইশ্বর শ্রেষ্ঠ দূত ভালোবাসা প্রেম মানবতার জন্য এরা উদার হিসাবে প্রকাশ করে অহরহ ছায়াছবি নাটক টেলিফ্লিম হলিউড বলিউডে নির্মাণ করা হচ্ছে এ বিষয়ে কিছু সংস্থা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান হলিউড বলিউডের পরিচালক প্রযোজককে আর্থিকভাবে লাভবানও করে দিচ্ছেন! এব্যাপারে ধর্মজ্ঞ পন্ডিত বুদ্ধিজীবী মানবাধিকার সুশীল সমাজের বিবেক নীরব সহানুভূতিশীল কিন্তু হিন্দু ধর্ম ব্যত্তিত অপর কোনো জাতি ধর্মের ইশ্বর ইশ্বরের দূত সমাজ সমাজের সংস্কৃতি আচর আচরণ নিয়ে একটু ব্যতিক্রমি চরিত্র হলিউড বলিউড নাটক টেলিফ্লিমে কোনো বিতর্কত কিছু প্রকাশ করলেই রাস্তাঘাটে সিনেমাহল পরিচালক প্রযোজকের বিরোধে আন্দোলন ভয়ভীতি হত্যা নির্যাতন, নির্যাতনের হুমকি ! সেসকল সমাজ রাষ্ট্র ধর্ম জাতি নিয়ে তোলপাহাড় হওয়ার কারণে সেইসব ধর্ম সমাজ জাতিকে নিয়ে হলিউডে বলিউডে ছবি নির্মাণ করতে হলে একশো বার ভাবলেও সনাতন ধর্ম সমাজ হিন্দু জাতির আচর আচরণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যের বিরোধে হলিউডে বলিউডে ছবি নির্মাণ করাই নিত্যনৈতিক ব্যাপার এনিয়ে কারো বিন্দু মাত্র মাথাব্যাথা নেই ! সনাতনী ধর্ম হিন্দু সমাজ ও জাতির এই অবাদ অপপ্রচার আর সমাজিক যে বর্ণবৈষম্য জাতপাত ভেদাভেদ ধর্মীয়জ্ঞানহীন মানুষ মানুষের প্রতি বিশ্বাস ধৈর্য ক্ষমা সাহায্য সহযোগীতা ভ্রাতৃত্ববোধ সামাজিক মূলবোধ নারী সমাজ ধর্ম জাতির প্রতি দায়্যদায়িত্ব অধিকার ও কর্তব্যের প্রতি এক অজানা অচেনা বিষাদ করে তুলছে, যার কারণে সনাতন ধর্ম হিন্দু সমাজ ও জাতি থেকে মুক্তি পথে হিসাবে ধর্মান্তরকেই বেচে নিয়েছে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সেইসব নারীপুরুষ কি মুক্তি পাচ্ছে ?
👉🏻 সেবামূল্যক কর্মকান্ডের নামে ধর্মান্তর কৌশল :
প্রত্যেকটি সমাজ রাষ্ট্র ধর্মের পরিধি বৃদ্ধি ও অবক্ষয়ের পিছনে অর্থনীতি রাজনীতি ও শাসনতন্ত্রের প্রভাবের প্রভাবিতকে অস্বীকার করা যায় না ! তার প্রমাণ হলো… মাতার তেরেসা তিনি প্রথমত্ব বেশ কয়েকটি বিশেষ ধর্মের দেশে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেই সব বিশেষ ধর্মের দেশেগুলো মাতার তেরেসাকে সেখানে যাওয়ার অনুমোদন দেয়নি ! সর্বশেষে ভারতে আসেন, ভারতের মানুষগুলো একটু উদার ছিলো তারা মাতার তেরেসা খ্রিষ্টানীরাষ্ট্র ও ভারতের কিছু ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগীতায় অনাথ আশ্রম এবং মিশনারী স্কুল খুলে বসলেন ! এটা সময় অনাথ আশ্রম এবং মিশনারী স্কুলগুলোর জনপ্রিয়তা এতোটায় বেড়ে গেলো যে এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভারতের বেশি কিছু মানুষ খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হলো! এর উপহার স্বরুপ খ্রিষ্টানীরা মাতার তেরেসাকে শান্তিতে নোবেল প্রাইজে ভূষিত করলো!
যা কিনা ভারতবর্ষের সংখ্যাগুরু সনাতনী জাতি টের ও পায়নি বা একেবারে পায়নি তা কিন্তু বলা যাবে না,কারণ এই সনাতনী ধর্ম ও হিন্দুজাতি দিব্যজ্ঞানী হলেও কান্ডজ্ঞানহীন জাতি ! কিন্তু এখনও অনাথ আশ্রম মিশনারী স্কুল কিন্তু এখনও অনাথ আশ্রম মিশনারী স্কুলগুলো মানব সেবার নামে খ্রিষ্টান আচর আচরণ সংস্কৃতি রীতি নীতি ও ধর্মান্তরিত হওয়ার রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে !
👉🏻 সনাতনী ধর্মীয় মঠমন্দিরসন্মূহের মধ্যে একে অপরের মধ্য অদৃশ্য প্রতিযোগীতা ও
বহুমতবাদ বা মতাদর্শকে বিভাজন কারণে ধর্মান্তরের প্রভাব : সনাতন ধর্ম বা হিন্দুজাতির মহানুভবতা ও সার্বজনীনতার বৈশিষ্ট্য হলো এই মহা সূক্তাটি :-
সর্বে ভবন্তু সুখিন,সর্বে সন্তু নিরাময়া,
সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু,মা কশ্চিদ দুঃখ মাপ্নুয়াত,ওম শান্তি শান্তি শান্তি।(বৃহদারন্যক উপনিষদ ১/৪/১৪)অর্থাৎ সবাই যেন সুখী হয়, সকলে যেন নিরাময় হয়, সকল মানুষ পরম শান্তি লাভ করুক, কশ্মিনকালেও যেন কেহ দুঃখ বোধ না করেন। সকলের শান্তি লাভ করুন। এখানে শুধু মাত্র বিশেষ কোনো জাতি গোষ্ঠি একক কোনো ধর্ম বর্ণ সাদা কালো ধনী গরিবকে বিভাজন কিংবা স্বজাত স্বসমাজ স্বধর্ম জন্য সনাতন ধর্ম বা হিন্দুজাতি প্রার্থনা করেন না, তারা সকল জীবের মঙ্গলকামনা করে বলেই সনাতনকে সার্বজনীন ধর্ম বলা হয় ! মধ্য ও আধুনিক যুগে কিছু লোক আমিত্ব,স্বস্বার্থ, কিছু প্রতিষ্ঠান নিজের কার্যসাধনের জন্য বিশ্বব্রম্মান্ডের সকল জীবের দর্শনকপ কলংঙ্কিত করার জন্য এরা সকল জাতির জন্য উদার মানবিকতা মুখোষ পড়ে স্বজাত সমাজে কানাচে কানাচে বিভাজন পোষ্যে রেখেছে শুধু মাত্র নিজেদের কিছু স্বার্থের জন্য ! উদাহরণ : ইস্কনের মানবতা প্রকাশ পায় ইফতার পাটিতে+ রামকৃষ্ণ মিশনের মানবতা রক্ষা হয় যীষ্ণুর জন্মদিনে+ লোকনাথ মানবতা রক্ষা হয় বিশেষ ধর্মের গ্রন্থ পড়ে + অনুকূল্যের মানবতা পালন হয় পূরাণে বিশেষ ধর্মের ইশ্বর ও প্রচারককে দেখতে পান অন্যান অসংখ্যা মতবাদের কথা না হয় বললামই না এরাও এদের থেকে কম নয় ! কিন্তু এই মানবিক ধর্ম প্রচারক প্রতিষ্ঠানগুলোই আবার স্বসমাজে মধ্যে শতশত বছর ধরে চলে আসা রক্ত চোষা বর্ণবৈষম্য জাতপাত ভেদাভেদে ধর্মান্তর হত্যা ধর্ষণ মন্দির উপাসনালয় দোকানপাট শ্মশান দখল ভাঙাচুর অগ্নি সংযোগে অমানবিক অত্যাচারের ক্ষেত্রে এরা নীরব এবং এক প্রতিষ্ঠান একেক মেরুতে দাঁড়িয়ে নিজেরা আমিত্বের অমরত্ব ধারন করে সমগ্রজাতিকে বিভাজনের পথে ধাবিত করছে ! যার ফলে আধুনিক যুগে সার্বজনীন মানবতার অবক্ষয় থেকে পরিত্রাণ নেই ! তাছাড়া একেক প্রতিষ্ঠানের শিষ্য নিজেদের স্বার্থে অপর সকল প্রতিষ্ঠানের বিরোধী প্রচারণ করছে তারা ভুলে যাচ্ছে তার একতন্ত্রীক মনোভাব সনাতন ধর্মের বহুমতবাদ বা বহুমতপথের পরিপন্থীই যে সনাতন ধর্ম হিন্দুজাতি ও স্বসমাজের অবক্ষয় ! এথেকে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধর্ম যাজক মহাপুরুষ ধর্মগুরু শিষ্যদের বহুমত দর্শনে থেকেও অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে, করো প্রতি বিরোধ হিংসা প্রতিপক্ষ না করে বা না ভেবে নিজের মতআদর্শ মানে অন্যের মতআদর্শকে সম্মান করেন ! অস্তিত্ব রক্ষায় সকলের সংঘবদ্ধ তার বিকল্প নেই ! সংঘবদ্ধ হয়ে সনাতন সমাজের অপ্রচার হিংসা বন্ধ হলেই সনাতনের কেউ ধর্মান্তরিত হতে প্রভাবিত হবে না !
👉🏻 শিক্ষা সংস্কৃতি আচর-আচরণ ধর্মীয়শিক্ষা ধর্মীয়মূল্যবোধ পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য ও অধিকার:
প্রত্যেক পরিবারের শিক্ষা সংস্কৃতি আচর-আচরণ ধর্মীয়শিক্ষা ধর্মীয়মূল্যবোধ পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য ও অধিকার এবং সেই সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব স্থাপন করার মূল্যমন্ত্র পরিবার থাকেই প্রত্যেক ব্যক্তি পেয়ে থাকেন, তবে পরিবারের পাশাপাশি ধর্মীয় গুরু ও সমাজপতি ও মহাপুরুষদের আত্মজীবনী দর্শনই মানুষের মনুষ্যত্বকে গঠন ও বিকাশে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে, তাই নারীপুরুষের শৈশবে পরিবার থেকে প্রাপ্ত যথাযথ শিক্ষা সংস্কৃতি আচর-আচরণ ধর্মীয়শিক্ষা ধর্মীয়মূল্যবোধ দায়্যদায়িত্ব অধিকার কর্তব্য আদর্শ দর্শনই পারে নারী পুরুষের সঠিক বিকাশের পথে জাগ্রত করতে ! কিন্তু আমাদের সনাতনী পরিবার সমাজ, জাতির বিজ্ঞজনরা কি তাদের ছেলেমেয়েদের প্রকৃত শিক্ষা দিচ্ছেন ? হিন্দু সমাজের পরিবার তাদের ছেলেমেয়েকে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গান বাজনা নৃত্য শিখাতে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় ততটা যদি ধর্মীয় শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হতো তাহলে সনাতন ধর্মের মধ্যে ধর্মান্তর হওয়া শূন্যের কোটায় চলে আসতো !
সুমন ঘোষ
এল এল.বি. (অনার্স) এমইউ
শিক্ষানুবীশ আইনজীবী
সিলেট জেলা বার আইনজীবী সমিতি ।
সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ সোসাইটি সিলেট বিভাগ ।
নির্বাহী সম্পাদক