করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পশ্চিমবঙ্গেও সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজ্যে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করলো রাজ্য সরকার।
রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে এক সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের শপিংমল, পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, স্পোটর্স কমপ্লেক্স, জিম, স্পা ও সুইমিংপুল বন্ধ থাকবে। এমনকী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে হোম ডেলিভারি ও অনলাইন পরিষেবা চালু থাকবে।
বাজারের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সরকার। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বাকি সময় বন্ধ থাকবে। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, মুদিখানা ও মেডিক্যালের দোকান। এই নির্দেশিকা এদিন সন্ধ্যা থেকে লাঘু হয়েছে।
অন্যদিকে, রোববার (২ মে) বাংলার বিধানসভা ভোটের গণনার দিন। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, গণনাকেন্দ্রের বাইরে জমায়েত করা যাবে না। এমনকী কোথাও রাজনৈতিক জমায়েত করা যাবে না। করা যাবে না বিজয় মিছিল। সেই নির্দেশ মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফেও। নির্দেশ অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মহামারি আইনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এর আগে ১৯ এপ্রিল মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন এখনই লকডাউন এবং নাইট কারফিউর পথে যাবে না রাজ্য। ওই দিনই তিনি রাজ্যের সব স্কুলের ছুটির ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া তিনি বলেছিলেন, আমি মানুষের পাশে আছি। সজাগ থাকুন অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না।
বার্তা বিভাগ প্রধান