যে কোনো মন্দির বা মসজিদ হলো আমাদের কাছে আস্থার জায়গা। আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মের অন্তর্নিহিত বিশ্বাস অনুযায়ী মন্দির মানেই আমাদের কাছে একটিই ছবি ভেসে ওঠে যে মন্দিরের মাঝে সিংহাসন রয়েছে আর তাতে বসে রয়েছেন কোনো দেবতা বা দেবী।
অন্যদিকে সেই ঠাকুরের পুজোয় ব্যস্ত থাকেন কোনো পূজারী বা পুরোহিত। কিন্তু এখানেই রয়েছে আসল টুইস্ট যা চমকে দেবে আপনাদের।
আসলে সেই চিরাচরিত প্রথা মেনে এই মন্দিরে দেখতে পাবেন না পুরোহিত। রয়েছে অন্য কেউ। তবে প্রশ্ন উঠছে কে করেন পুজো?
জানা গেছে যে মন্দিরটি (Buddhist temple) নাকি প্রায় ৪০০ বছরের বেশি পুরনো। মন্দিরে মূল পূজারী হিসেবে রয়েছে একটি রোবট।
বিশ্বাস হলো না তো? পড়ুন পুরোটা।
এটি আসলে একটি বৌদ্ধ মন্দির (Buddhist temple)। রোবট হিসেবে যে পূজারী পুজো করে তার নাম “মিন্দার”। এক রোবটও যে পুজো করতে পারে তা ভাবতেই অবাক লাগছে তাই না?
শুধু যে সে পুজো করে তাই না। এর পাশাপাশি ওই রোবটটি আবার মন্দিরে (Kōzan-ji temple) আগত সমস্ত দর্শনার্থীদের মন্ত্রোচ্চারণ করায়।
তবে এই মন্দির (Kōzan-ji temple) আমাদের এই দেশে নেই। জাপানের হনশু দ্বীপের কিয়োটো শহরে এই মন্দির অবস্থিত যার নাম “কোডায়জি” মন্দির (Kōzan-ji temple)।
বৌদ্ধদের করুণার দেবী কানন আসীন রয়েছেন এই মন্দিরে। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (osaka university) রোবটিকস বিভাগের অধ্যাপক এটি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করিয়েছেন।
রোবট মিন্দারকে দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না যে দুই হাত জোড় করে দেবতার কাছে প্রার্থনা করা এই রোবটের মধ্যে আসলে কোনো প্রাণই নেই। আবার তাকে ঘাড়, হাত ও মাথা নাড়াতে দেখলে তো অবাক হওয়ারই কথা।
মন্দিরের (Kōzan-ji temple) এই উদ্যোগ আসলে তরুণ প্রজন্মকে ভগবান ও ভক্তির প্রতি আস্থা আনাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোনো বৌদ্ধ পুরোহিতের জায়গায় একটি প্রাণহীন রোবটের মন্ত্র পড়াকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখছেন।
এখানে বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

নির্বাহী সম্পাদক