নয়াদিল্লি:
করোনা মুক্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। করোনা আক্রান্ত হয়ে দিন দশেক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। দিল্লির এইমস হাসপাতালে চলছিল তাঁর চিকিৎসা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৯ এপ্রিল করোনা ধরা পড়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। তাঁকে এইমসের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। গত ৪ মার্চ ও ৩ এপ্রিল যথাক্রমে করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন তিনি। তারপরও করোনা থাবা বসায় তাঁর শরীরে। বয়স বেশি হওয়ার কারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি তাঁর পরিবার। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এ ভর্তি করা হয়। পরে শোনা যায় অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি।
হাসপাতালে যাওয়ার আগে করোনা সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন মনমোহন সিং। চিঠিতে টিকাকরণ কর্মসূচি বাড়ানোর আহ্বান জনান তিনি। বলেন, যদি সরকার এই সময় নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রায় টিকা দিতে চায় তবে পর্যাপ্ত অর্ডার আগে থেকেই করা উচিত। তবেই উৎপাদকেরা সরবরাহের একটি সময়সূচী পাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে ১০ শতাংশ ভ্যাকসিন বিতরণ করা। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর নমনীয়তা বজায় রাখা উচিত । সেক্ষত্রে ৪৫ বছরের নিচে যারা তাদের টিকা দেওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।
মনমোহন সিং এও বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদকদের সুবিধাগুলো প্রসারিত করতে হবে। তহবিল এবং অন্যান্য ছাড়ের দিকে কেন্দ্রকে নজর দিতে হবে। কোম্পানিগুলোকে আইনত লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা আরও বেশি করে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েলের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে, ইতিমধ্যে তারা বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিং নিয়মটি চালু করেছে এবং ভারতের পক্ষেও তাড়াতাড়ি করার ব্যবস্থা রয়েছে। ইউরোপিয় মেডিক্যাল এজেন্সি বা ইউএসএফডিএ-এর মত বিশ্বাসযোগ্য কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে এমন কোনও ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি দেওয়া উচিত।

নির্বাহী সম্পাদক