Home » শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছিলেন রিকশা চালকের স্ত্রী, অক্সিজেন নিয়ে পাশে পুলিশ

শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছিলেন রিকশা চালকের স্ত্রী, অক্সিজেন নিয়ে পাশে পুলিশ

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ঘরে কাতরাচ্ছিলেন জুলেখা (৪০) নামে এক হৃদরোগী। কিন্তু রিকশা চালক স্বামীর তেমন সামর্থ নেই। লোকে মুখে শুনেছেন পুলিশের কাছে গেলে ফ্রিতে পাবেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। সেই আশায় ফোন দিলেন সিএমপির ডবলমুরিং থানায়। পুলিশও তার ফোন পেয়ে দ্রুত আগ্রাবাদ নাজিরপুল ওমর খানের ভাড়াঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয়। এতে করে অক্সিজেন লেভেল ৮৩—তে নামতে থাকা জুলেকার শরীরের অক্সিজেন লেভেল হয় স্বাভাবিক আর স্বামীর মনে ফিরে শান্তি।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘কমিশনার স্যারের নির্দেশে করোনাকালে আমরা মাঠে থেকে জনগণের পাশে ত্রাণ, ইফতার ও সেহেরি বিরতণ, মাস্ক বিতরণসহ সচেতনামূলক কাজ করছি। উনার আরেকটি উদ্যোগ হলো, নগরের কোনও বাসিন্দা যাতে টাকা অভাবে বা জরুরী প্রয়োজনে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট না পান। সে লক্ষ্যে চালু হওয়া সিএমপির অক্সিজেন ব্যাংক থেকে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এমনই একজন রিকশা চালক তার স্ত্রীর অক্সিজেনের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে ফোন করলে আমরা নিজেদের গাড়িতে করে সিলিন্ডার পাঠিয়ে তা রোগীকে লাগিয়ে দিয়েছি। রোগী যথাসময়ে অক্সিজেন পাওয়ায় এখন সুস্থ আছেন।’

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় রোগীদের শ্বাস নিতে উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। প্রতিটি থানায় তিন থেকে চারটি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘অক্সিজেন ব্যাংক’। কোভিড ১৯ আক্রান্ত নগরবাসীর সহযোগিতায় প্রতিটি থানায় এ অক্সিজেন ব্যাংক গড়ে তোলা হয়।

সিএমপির উপ কমিশনার (সদর) আমীর জাফর বলেছিলেন, ‘অক্সিজেন ব্যাংকের এ উদ্যোগে প্রতি থানায় তিন থেকে চারটি সিলিন্ডার থাকবে। অগ্রাধিকারের তালিকায় আমাদের পুলিশ থাকলেও জরুরী প্রয়োজনে সাধারণ মানুষও থানা থেকে সেই সুবিধা পাবে। এমনকি খুব জরুরী দরকার হলে খালি সিলিন্ডারও থানার মাধ্যমে চাইলে রিফিল করে দেওয়া হবে।’ -সিভয়েস

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *