নোভেল করোনা ভাইরাস নামটার সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত হয়েছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। এই ভাইরাস পরিবর্তন করেছে মানুষের চিরাচরিত জীবন-যাপন। তার কারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতে চালু করা হয়েছিল লকডাউন পরিষেবা। ২০২০ সালে এই লকডাউনের সময় বন্ধ রাখা হয় অফিস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। নতুন একটি পথ অনলাইনে কাজ করতে হয় সমস্ত মানুষকে। স্কুল কলেজের ক্লাসরুমগুলি চলে আসে মোবাইল অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মধ্যে। এমনকি অফিসের মিটিং থেকে কাজ সমস্ত কিছু করতে হয় বাড়ি বসে অনলাইন মাধ্যমে।
নতুন এই মাধ্যমে কাজ করার ফলে অফিশিয়াল পোশাক পরা কিংবা অফিস টাইমে শুধু কাজ করার মতো বিষয়গুলো ছিলনা বললে চলে। তার কারণ বাড়ি বসে কাজ করার ফলে অনিয়মের জন্য মিলতো না বসের চোখ রাঙানো। বাড়িতে কাজ করার ফলে আরেকটা বড়ো সুবিধা ছিল, যা কাজের ফাঁকে খিদে পেলে খাওয়া যেতো টুকটাক খাবার। খাবারের জন্য টিফিন টাইমের অপেক্ষা করতে হত না।
তবে সময়ের মাঝে এই টুকটাক খাওয়ার ফলে খিদে মেটার সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে ওজন। সেই কারণে টুকটাক খাবারের তালিকায় ওজন বেড়ে যাতে পারে, এমন উপাদান দূরে রাখায় বুদ্ধি মানের কাজ। টুকটাক খাবারের তালিকায় কী থাকলে খিদে মিটবে এবং ওজন বেড়ে যাবার মতো চিন্তাও করতে হবেনা তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হল।
১. অনেকেই বাড়িতে কাজ করতে করতে খিদে পেলে টুক করে চানাচুড় কিংবা কেক খেয়ে থাকে। তবে এগুলি অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে আমাদের শরীরে। চানাচুড় কিংবা কেক না খেয়ে ড্রাইফুড হিসেবে তালিকায় রাখা যেতে পারে বাদাম, কাজু, পেস্তা, আখরোটের মতো উপাদানগুলি।
২. অনেকে রোজ সকালে সেদ্ধ ডিম খেয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসেবে ডিম খুব উপকারী। সেদ্ধ ডিমে থাকে ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিনের মতো নানা রকম পুষ্টিকর উপাদান।
৩. মিষ্টি প্রায় সকলের কাছে প্রিয়। সেই কারণে অনেকে কাজের ফাঁকে কেক, চকলেট এবং কুকিজ খেয়ে থাকে। তবে সাবধান এই সমস্ত খাবারে বেড়ে যেতে পারে ওজন, কারণ এগুলিতে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি। তাই কেক, চলকেটের বদলে তালিকায় গ্রিয় ইয়োগার্ট রাখলে খিদেও মিটবে এবং ঠিক থাকবে ওজনও।
৪. ডার্ক চকলেট মিষ্টি না হওয়ার কারণে অনেকে অপছন্দ করে। তবে ডার্ক চকলেটে অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকায় তা দিনে এক টুকরো করে খেলে মিলবে উপকার।
নির্বাহী সম্পাদক