Home » করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

লকডাউন কার্যকর এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জরুরী ভিওিতে সারাদেশে সেনা বাহিনী মোতায়েন এবং রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা,মহানগরে (ফিল্ড হসপিটাল) স্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট একজন আইনজীবী।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু জানান, মঙ্গলবার ইমেইল এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবরে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যম অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি করোনার ভয়াল মাহামারীর হাত থেকে দেশের মানুষের জীবন রক্ষায় সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় তিন সাপ্তাহ ধরে দেশে লকডাউন চলমান রয়েছে। কিন্তু আমরা পত্রপত্রিকার নিউজের মাধ্যেমে দেখতে পাই যে, শহরগুলোতে যথাযথভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে না এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত স্বাস্থ্য বিধি পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন না করার প্রবণতা মানুষের চলাফেরায় প্ররিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে দেশে কার্যত লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না এবং করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ও অপেক্ষাকৃত কমছে না।

দেশের জনগণকে করোনার মরণ থাবা থেকে রক্ষায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মানুষকে বাধ্য করতে দেশে কার্যকর লকডাউনের মাধ্যেমে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার কমাতে সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়নের কোনো বিকল্প নাই।

সেনা বাহিনীই পারে দেশে কার্যকর লাকডাউন পালনে শৃঙখলা ফিরিয়ে আনতে। এছাড়া দেশে দিনের পর দিন যে হারে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে চলেছে এবং যে পরিমাণ করোনা রোগী হসপিটালে ভর্তি হচ্ছে ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছে।

অতএব উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলা, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে (ফিল্ড হসপিটাল) তৈরি করে করোনা রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জনস্বার্থে সময়ের দাবী ।

সূত্র: নয়া দিগন্ত

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *