ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ থেকে গাড়ীসহ এক শিশু অপহরণের মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সুহিতপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকা থেকে ওই শিশু ও কদমতলি এলাকা থেকে গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একই উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের রোকন আহমদ (২৮) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের কুটি মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, আজ সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের সুহিতপুর এলাকার আওলাদ আলী রেজা তাদের নিজস্ব সাদা রঙের নোহা (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩ ১২১৫) গাড়ীর চালককে দিয়ে স্থানীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকে পাঠান। এসময় আওলাদ রেজার ভাতিজী হালিমা নুসরাত ঊর্মিলাও (৫) সুইট কিনতে গাড়ী চালকের সাথে যায়। চালক গাড়ীটি ব্যাংকের নিচে রেখে যান। এসময় গাড়ীতে ঊর্মিলা বসা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি (চালক) ব্যাংকে লেনদেন শেষ হওয়ার পর ব্যাংক থেকে নিচে নেমে দেখতে পান গাড়ী ও শিশু ঊর্মিলা নেই। সাথে সাথে চালক আওলাদ আলী রেজার পরিবারকে জানান।তারা প্রশাসনকে অবহিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিলেটের কদমতলি এলাকার স্থানীয়রা ফল মার্কেটের পাশে গাড়িটি দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুর স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি পেলেও ঊর্মিলাকে পাননি। এর কিছুক্ষন পর লোকমারফত খবর পেয়ে গোটাটিকর এলাকার একটি বাড়ীতে ছাতক থানা পুলিশ ও দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় একই উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের রোকন আহমদ (২৮) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের কুটি মিয়ার ছেলে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে সাড়ে ৩ টার দিকে সিলেট নগরীর কদমতলি এলাকায় গাড়িটি পাওয়া যায়। এসময় স্থানীয়রা গাড়িটিকে ধাওয়ায় করলে দুষ্কৃতিকারীরা শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের দক্ষিণ সুরমা থানা ও ছাতক থানার যৌথ অভিযানে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান