Home » বিয়ের পর বিশ্বকাপে প্রথম সোনা জয় দীপিকা-অতনু’র

বিয়ের পর বিশ্বকাপে প্রথম সোনা জয় দীপিকা-অতনু’র

বিয়ের পরই বিশ্বকাপে পদক জিতলেন দীপিকা কুমারী ও অতনু দাস৷ তিরন্দাজি বিশ্বকাপ ফাইনালে পুরুষ ও মহিলা রিকার্ভ ফাইনালে ব্যক্তিগতভাবে সোনা জেতেন এই ভারতীয় দম্পতি৷ বিশ্বকাপে এটি দীপিকার তৃতীয় ব্যক্তিগত সোনা হলেও অতনুর এটি প্রথম বিশ্বকাপে সোনা জয়৷

গত বছর ৩০ জুনে বিয়ে করেছেন ভারতীয় এই দুই তিরন্দাজবিদ৷ অতিমারীর কারণে পরিকল্পনা বদলে গত জুনে অর্থাৎ লকডাউনের মাঝেই সেরে ফেলেছিলেন দীপিকা ও অতনু। সেই সঙ্গে প্রথম ভারতীয় তিরন্দাজ দম্পতি হিসেবে অলিম্পিকে একই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন অতনু ও দীপিকা। তার আগে বিশ্বকাপে দু’জনেই দেশকে সোনা এনে দিলেন৷ রবিবার গুয়েতমালা সিটি-তে প্রাক্তন বিশ্বের এক নম্বরে মহিলা তিরন্দাজ দীপিকা ফাইনালে মেক্সিকোর আলেজান্দ্রো ভ্যালেন্সিয়া ৭-৩ হারিয়ে সোনা জেতেন৷ বিশ্বকাপে এটি তাঁর তৃতীয় ব্যক্তিগত সোনা৷

পুরুষ রিকার্ভ ফাইনালেও সোনা জেতে ভারত৷ স্প্যানিশ খেলোয়াড় ড্যানিয়েল কাস্ত্রোকে ৬-৪ হারিয়ে সোনা জেতেন অতনু৷ বিশ্বকাপে এটি প্রথম ব্যক্তগিত সোনা তাঁর৷ বিয়ের পর দু’জনেই ব্যক্তিগত সোনা জেতায় খুশি অতনু৷ তিনি বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে ট্রাভেল করি, একই সঙ্গে ট্রেনিং করি আবার একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিই৷ দীপিকা জানে আমার পছন্দ কী আর আমি জানি, ও কী পছন্দ করে৷ সুতরা একই সঙ্গে সোনা জিততে পেরে দারুণ খুশি৷ বিশেষ করে আমার কাছে বিশ্বকাপে প্রথম সোনা জয় স্বপ্ন পূরণ হওয়া৷ দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রমের ফল পেলাম৷ এটা দারুণ অনুভূতি৷’

ব্যক্তিগত সোনা জয়ের পাশাপাশি দলগতভাবেও সোনা জেতেন দীপিকা৷ রবিবার গুয়াতেমালা সিটি-তে অনুষ্ঠিত তিরন্দাজি বিশ্বকাপে রিকার্ভে দলগত বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় মহিলা। ফাইনালে হারায় মেক্সিকোকে হারিয়ে সোনা জেতে দীপিকার নেতৃত্বে ভারতীয় মহিলা দল। ম্যাচের ফল ভারতের পক্ষে ৫-৪। তৃতীয় সেটে ২-৪ পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ জিতে নেয় ভারতীয় মেয়েরা।

ভারত ফাইনাল জেতে ২৭-২৬ পয়েন্টে। ভারতীয় দলের তিন তিরন্দাজ হলেন দীপিকা কুমারী, অঙ্কিতা ভকত ও কমলিকা বারি ২৭ শট মারেন। এক শট পিছনে আটকে যায় মেক্সিকো। সাত বছর পরে বিশ্বকাপ তিরন্দাজি থেকে এটি ভারতের প্রথম সোনা। এই নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে পাঁচটি দলগত সোনা জয় ভারতীয় দলের সদস্য হলেন দীপিকা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *