কলকাতা :
সপ্তম দফায় মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন তৃণমূলের যুব নেতা ও ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে জেনে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজনৈতিক নেতাদের তৈরি থাকা উচিত ছিল। সেটা তারা করেনি। করোনা (Corona)পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের আরও আগে ঘুম ভাঙা উচিত ছিল। সেটা তারা করেনি। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ব্যর্থ।”
এদিন নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” অমিত শাহই (Amit Shah) বলেছেন যে, যারা পরাজিত হবে তারা অভিযোগ করে। এখন বিজেপি (BJP) অভিযোগ করছে, তার মানে তো এটাই দাঁড়ায় বিজেপি হারছে।”
পাশাপাশি বাংলায় উত্তরোত্তর করোনায় সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “নির্বাচন কমিশনের একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ৮ দফায় নির্বাচন (8th Phase Election) করছে । দেশে নির্বাচন কমিশনের এই ভূমিকা কেউ আগে কখনও দেখেনি।”
এদিকে ভোট দিয়ে ফিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আবার রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরছে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন,, “শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। সারা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মানুষকে বিপর্যস্ত করছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তেমন ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না। অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশ থেকে ৯০০ মেট্রিকটন অক্সিজেন বিদেশে পাঠানো হয়েছে। দেশে করোনা রোগীর চিকিৎসায় অক্সিজেনের তীব্র সংকট চলছে। করোনার টিকা বিদেশে ওপাঠানো হচ্ছে। অথচ দেশে সেই অর্থে করোনার টিকাকরণ হচ্ছে না। করোনা টেস্ট করার কিট বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। অথচ দেশে টেস্টিং কিট পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘুম ভাঙেনি। করোনা পরিস্থিতি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চুরমার করে দিচ্ছে।”
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় রাজ্যে ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ বিজেপি শীর্ষ নেতারা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন। পাশাপাশি ৮ দফায় নির্বাচন করার ফলে তৃণমূল (তমসা), বিজেপি (বিজেপি), সংযুক্ত মোর্চা (সংযুক্ত মোর্চা) সবাই বহু সভা করেছে। এর ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে জনসভার দাপটে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।
এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ার পর পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে শেষ তিন দফা নির্বাচন এক সঙ্গে করার আর্জি জানান। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)সেই দাবি খারিজ করে পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা মতোই ৮ দফায় নির্বাচন করার নির্দেশিকা জারি রাখে। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে সমালোচনা করেন। এবার সেই একই সুরে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা ও রাজ্যে করোনা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাহী সম্পাদক