Home » রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৮বছর, দুই মামলায় এখনও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৮বছর, দুই মামলায় এখনও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি

রানা প্লাজার ঘটনায় দায়ের করা চার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে কেবল একটির। ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬। বাকি তিন মামলার বিচারকাজ সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে ঝুলে আছে।

এর মধ্যে হত্যা মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমরাত নির্মাণ আইনে দায়ের করা দুই মামলার মধ্যে রাজউকের মামলাটি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং ইমারত নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার রানা প্লাজার আটতলা ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে নিহত হয় ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। আহত হন আরও কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ। এ ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়।

দীর্ঘ আট বছরে চারটি মামলার মধ্যে শুধু সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে রানা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলার নিষ্পত্তি হলেও বাকি তিনটি নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না। হত্যা ও ইমারত আইনের রাজউকের মামলাটির এখনও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পরদিন ভবন নির্মাণে ‘অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় অভিযোগ পত্রে ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। আসামি ৪১ জনের মধ্যে তিন আসামি মারা যান। এখন আসামির সংখ্যা ৩৮ জন।

২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলেও এখন পর্যন্ত একজনেরও সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান বলেন, ‘মামলাটির অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন ছয় আসামি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জনের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন উচ্চ আদালত। পরে চারজনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়।’

তিনি আরও জানান, দুই আসামি সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেফাত উল্লাহ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলীর পক্ষে এখনও স্থগিতাদেশ থাকায় বিচারকাজ বা সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ চারবার লিখিত আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি।

তিনি আরও বলেন, মামলাটিতে ৫৯৪ জন সাক্ষী রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য খোঁজ খবর নেন। কিন্তু আমরা তাদের বলছি, আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আপনাদের জানাবো। মূলত ওই দু’জনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেই বিচারিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *