অক্সিজেন সেচুরেশন লেভেলসহ সার্বিক পরিস্থিতি আগের মতো ঠিকঠাক থাকায় মাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান। তিনি জানান, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
জিয়াউল হাসান বলেন, এরপর মা তার দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করে নামাজ পড়তে পারছেন, খাবারও ঠিকভাবে খেতে পারছেন। তাকে হাঁটাচলা করতে দেখে নিজের কাছেই খুব ভালো লাগছে। এদিকে কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকেও একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেছেন।
জিয়াউল হাসানের মা রেহেনা পারভীন ঝালকাঠির নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। মায়ের শরীরে জ্বর দেখা দিলে ৯ এপ্রিল প্রথম করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন নলছিটিতে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও তার রিপোর্ট না আসায় ১৫ এপ্রিল শেবাচিম হাসপাতালে পুনরায় নমুনা দেন এবং ১৭ এপ্রিল অক্সিজেন সেচুরেশন লেভেল কমতে থাকলে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ শেবাচিম হাসপাতালে আসেন জিয়াউল হাসান।
জিয়াউল হাসান বলেন, ৯ ও ১৫ এপ্রিলের রিপোর্ট ১৭ এপ্রিল রাতে পরপর দুটি আলাদা ম্যাসেজে জানতে পারি। যেখানে ৯ তারিখের রিপোর্টেই মা করোনা পজেটিভ ছিলেন। সেই হিসেবে ১৪ দিনের বেশি হয়ে গেছে তার আক্রান্তের সময়। চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখে যখন তাকে সুস্থ মনে হয়েছে তখনই তাকে নিয়ে বাসায় এসেছি। কাল হয়তো আবার নমুনা পরীক্ষার জন্য দেবো। তবে মায়ের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক।
বার্তা বিভাগ প্রধান