Home » করোনাভাইরাস: ওসমানী হাসপাতালে আরও ১০টি আইসিইউ

করোনাভাইরাস: ওসমানী হাসপাতালে আরও ১০টি আইসিইউ

সিলেটে বাড়ছে প্রতিদিন   করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। সবচেয়ে বেশি সঙ্কট দেখা দিয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যার। সিলেটের একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা খালি পাওয়া যাচ্ছে না।

এ অবস্থায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ১০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। ইতিমধ্যে সোমবার আটটি আইসিইউ শয্যা চালু হয়েছে।

এর আগে সিলেটে সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে করোনায় আক্রান্তদের একমাত্র শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ১৪টি আইসিইউ শয্যায় চিকিৎসা দেওয়া হতো। তবে শয্যাগুলো অধিকাংশ সময় পূর্ণ থাকে। ফলে করোনায় আক্রান্তদের আইসিইউ সঙ্কটে পড়তে হয়েছে। যদিও সিলেটের আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। তবে সেগুলোতে ব্যয় বহন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, সম্প্রতি হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডকে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ থাকাদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। তবে এর আগে একটি ওয়ার্ডকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরে রোগী কমে আসায় সেখানো করোনা উপসর্গ থাকা এবং আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি বন্ধ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সংক্রমণ বৃদ্ধির পর পূর্বের নির্ধারিত আসনগুলো থেকে বাড়িয়ে ২০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ‘বি’ ব্লকের আটটি আইসিইউ শয্যা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে আইসিইউ ব্লক ‘এ’ সাধারণ রোগীদের জন্য ১০টি শয্যা রয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসিইউ ব্লকে বর্তমানে পাঁচজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ৪০ জন চিকিৎসাধীন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা ইউনিট হিসেবে আলাদা ব্লক চালুর চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা স্থাপনেরও অনুমোদন পাওয়া গেছে। আইসিইউ শয্যা স্থাপনের জন্য কাজ শুরু হয়ে গেছে। এতে নতুন ভবনের একটি অংশ করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে।

হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় জনান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগে থেকেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হতো। তবে মধ্যখানে আক্রান্তের হার কমে আসায় হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্রেরণ করা হতো। বর্তমানে হাসপাতালের ২০০ শয্যা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮টি আইসিইউ শয্যা করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতালের আলাদা একটি আইসোলেশন ও আইসিইউ বিভাগ চালুর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্তদের জন্য আরও ১০টি আইসিইউ স্থাপনের অনুমোদন মিলেছে। যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আশা করা যায় ১৫-২০ দিনের মধ্যে সেটিও প্রস্তুত হয়ে যাবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *