Home » ৭০ নারীর রক্ত চুষে হত্যা! কে সেই ব্যক্তি…

৭০ নারীর রক্ত চুষে হত্যা! কে সেই ব্যক্তি…

বিদেশী সিনেমা ‘দ্য টোয়াইলাইট সাগা’তে আমরা অনেকেই অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা মানুষের রক্ত পান করে বেঁচে থাকা ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে জেনেছি ও দেখেছি। আরো অনেক সিনেমা উপন্যাসে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারদের উল্লেখ রয়েছে। আবার অনেক প্রাচীন সভ্যতাতেও এদের অস্তিত্ব নিয়ে রয়েছে গল্প। তবে বর্তমানে এদের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মনে করেন মানুষ।

কিন্তু আসলে বিংশ শতব্দীর প্রথম ভাগে ইউরোপের হাংগেরিতে এক ব্যক্তি বসবাস করতেন যার সাথে কিনা ভ্যাম্পায়ারদের অনেক চারিত্রিক বৈশিষ্টই মিলে যায়। কয়েক বছরের ব্যবধানেই হত্যা করেছিল ৭০ জন মানুষকে সে। রক্ত চুষে বের করে রক্ত পান করেছেন তাদের। “ভ্যাম্পায়ার অফ চিনকোটা” নাম তার।

বেলা কিস নামক এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে চিনকোটায় একটি ঘড় ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। সুন্দর চেহারা, স্পষ্ট স্বর এবং কিছুটা কৌতুকপ্রিয় হওয়ার কারণে কিস খুব সহজেই তার প্রতিবেশীদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। বাড়ির পাশেই তিনি একটি টিনের দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু বিপত্তি শুরু হয় যখন কিসের স্ত্রী ম্যারি, পল নামক এক শিল্পীর সাথে একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

কিছুদিন পরেই তার স্ত্রী ও পল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে বলে জানায় কিস। কিসের স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তার বাড়ির উঠোনে অনেকগুলো ড্রাম লক্ষ্য করেপুলিশকে জানায় মালিক। পুলিশ ড্রামগুলো দেখতে আসলে কিস জানায় যে ড্রামগুলোতে তিনি আসন্ন বিশ্বযুদ্ধের জন্য তেল সংগ্রহ করছেন। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনিও হারিয়ে যান।

যুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে কিস ফিরে না আসলে কিসের বাড়ির মালিক অন্য ভাড়াটে পেলে বাড়ি খালি করার জন্য গেলে সেই ড্রামগুলো সরাতে গিয়ে গন্ধ পেয়ে তা দেখেন। প্রতিটি ড্রামে রয়েছে একটি করে নারীর মৃত দেহ। প্রতিটি দেহেরই গলার কাছ থেকে দুইটি দাগ রয়েছে। দুইটি দেহ আবার কিস এর স্ত্রী ম্যারি ও তার প্রেমিক পলের। ময়নাতদন্তের পর প্রকাশ্যে আসে যে দেহগুলি থেকে চুক্ত চুষে নেওয়া হয়েছে।

তদন্তে জানা যায় কিস সংবাদপত্রের মাধ্যমে অত্যন্ত গোপনে বিয়ের বিজ্ঞপ্তি দিত। এই বিজ্ঞপ্তিতে যেসব একা সম্ভ্রান্ত নারী সাড়া দিত তাদের সাথেই কিস সম্পর্কে জড়িয়ে কিছুদিনের মধ্যেই তাদের রক্ত চুষে হত্যা করে চলে যেত।

 

 

 

 

kolkata24

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *