নয়াদিল্লি:
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এহেন পরিস্থিতিতে আগামীকালই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাই আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন না মোদী। নিজে টুইটারে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ট্যুইটে নরেন্দ্র মোদী যা লিখেছেন তার সারমর্ম হচ্ছে, শুক্রবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন। তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারছেন না। সংক্ষিপ্ত টুইটে অবশ্য নরেন্দ্র মোদী ভোটের প্রচারে না আসার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেননি। প্রসঙ্গত, বাংলার ভোটে যুযুধান সমস্ত রাজনৈতিক দলই করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে প্রচার সংক্ষিপ্ত করেছে । সিপিএম রাজ্যের প্রথম রাজনৈতিক দল, যারা কোরোনার কথা ভেবে প্রথম প্রচার বন্ধ করে দেয় । তার পর সেই পথে হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আগে বাংলায় সফর বাতিল করেছিলেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গাঁধীও। বাংলায় সভা করতে আসা বন্ধ করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি।
তাই এই পরিস্থিতিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপিকে প্রচার বন্ধের পথ যেতে হচ্ছে। কারণ যেখানে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রচার বন্ধ করেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ তাঁদের প্রচারসূচি বন্ধ না করায় জন্য বারবার বিজেপি-কে রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছিল। তবে এর পরেও প্রশ্ন উঠছে দেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীর সফর বাতিল করতে এতো সময় লাগলো করেন? কেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বাংলা সফর আগে থাকতে বাতিল করেননি? তবে প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের সভা বাতিল করার জন্য বিজেপি এবার সেই রাজনৈতিক সমালোচনা থেকে বার হতে পারবে। বলতে পারবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে সারা দেশকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে এটাই যে একজন প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব সেটা বিজেপি-র স্মরণে রাখা উচিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল।
তবে প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্যে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছেন তখনও রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের কোনও কোনও নেতানেত্রী বিভিন্ন জেলায় সভা করে চলেছেন।
নির্বাহী সম্পাদক