Home » ষষ্ঠ দফায় ভয়মুক্ত হয়ে ভোট দিতে মোদী, শাহের ট্যুইট

ষষ্ঠ দফায় ভয়মুক্ত হয়ে ভোট দিতে মোদী, শাহের ট্যুইট

কলকাতা :

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন সত্যি অর্থেই বর্ণময়। নির্বাচনের প্রতিটি দফার দিন সকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় ট্যুইট করে রাজ্যের ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে আবেদন জানাচ্ছেন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের দিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের দিন সকালেও বাংলায় ট্যুইট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তিনি ভোটারদের আশ্বস্ত করে ভয়মুক্ত হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁর ট্যুইট বার্তায়। ট্যুইটে তিনি , রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে পরোক্ষে আক্রমণও শানিয়েছেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি ট্যুইট করে রাজ্যের মানুষদের রেকর্ড হারে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছিরেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র নরেন্দ্র মোদী ।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর ট্যুইট বার্তায় লিখেছিরেন, “আমি বাংলার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে সকল ভোটারদের, বিশেষ করে যুবকদের কাছে আবেদন করছি অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যায় বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ভয়মুক্ত হয়ে ভোট দিন। আপনার একটি ভোট বাংলার গরিব ও বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং রাজ্যকে উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করবে।”

তবে রাজ্যের হয়ে যাওয়া পাঁচ দফা নির্বাচন কমবেশি অশান্তির মধ্যেই হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সবরকম চেষ্টা থাকার পরও পুরোপুরি অশান্তি মুক্ত ও নির্বিঘ্ন নির্বাচন হয়নি। সেকারণেই হয়তো অমিত শাহ ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শুরুতেই ভয়মুক্ত হয়ে ভোট দিতে ভোরটারদের আহ্বান জানালেন। পাশাপাশি বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন যুবসমাজের কথা। তবে অমিত শাহের এই আবেদনের আগেই ব্যারাকপুরে নির্বাচনের আগের দিন থেকেই বোমাবাজি, অশান্তি হচ্ছে।

শুধু অমিত শাহ নয় , ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের সকালে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাংলার ভোটারদের রেকর্ড হারে ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লেখেন, “আজ বাংলায় ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। যাঁদের যাঁদের এই দফায় ভোট রয়েছে, তাঁদের কাছে অনুরোধ, আপনারা বুথে যান এবং ভোট দিন।”

 

তবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনেরদিন সকালে ট্যুইট করে ভোটারদের ভোটদানে প্রবৃত্ত করার কাজ এভাবে আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন বলরে জানা নেই। তাই সেই দিক থেকেও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন নজির সৃষ্টি করলো।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *