মুম্বই:
আবারও ধাক্কা রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে। বেন স্টোকস চোট পেয়ে দেশে ফিরেছেন ইতিমধ্যেই। অস্ত্রোপচারের কারণে ইংরেজ পেসার জোফ্রা আর্চারকেও অন্তত আইপিএলের প্রথম ধাপের জন্য পাচ্ছে না তারা। এরইমধ্যে আরেক ইংরেজ ক্রিকেটার লিয়াম লিভিংস্টোন জৈব বলয় ছেড়ে দেশে ফিরে গেলন সোমবার।
জৈব বলয়ের ধকল তাঁর পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। গত একবছর ধরে জৈব নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থেকে ক্লান্ত তিনি। এমনই কারণ দেখিয়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন ইংরেজ ব্যাটসম্যান। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিভিংস্টোনের দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে রয়্যালস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তারা লিখেছে, ‘লিয়াম লিভিংস্টোন রাজস্থান রয়্যালস শিবির ছেড়ে গত রাতে দেশে ফিরে গিয়েছেন। গত একবছর ধরে জৈব বলয়ের ধকল নিতে ব্যর্থ তিনি।
আমরা তাঁর সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সম্মান জানাচ্ছি। আগামীতেও তাঁর সিদ্ধান্তকে যত দূর সম্ভব সমর্থন করে যাব।’ জৈব বলয়ের ক্লান্তি এড়াতে ভারতের মাটিতে চলতি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে একই কারণে আইপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের অজি পেসার জোশ হ্যাজেলউড। তিনি যদিও শিবিরে যোগ দেওয়ার আগেই নাম প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
আইপিএল শুরুর ঠিক আগে ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ডের হয়ে ওডিআই অভিষেক হয়েছিল লিভিংস্টোনের। ইংল্যান্ড সিরিজ খোয়ালেও থ্রি-লায়ন্স জার্সিতে দু’টি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এসেছিল ইংরেজ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২১ বলে লিভিংস্টোনের অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস দলকে সমতায় ফিরতে সাহায্য করেছিল সিরিজে। তৃতীয় ম্যাচে তাঁর ৩১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস যদিও সিরিজ হার এড়াতে পারেনি দলের।
ভারতে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে পারথ স্কর্চার্সের দলের সদস্য ছিলেন লিভিংস্টোনের। ২০১৯-২০ পারথ স্কর্চার্সের হয়ে সর্বাধিক রান এসেছিল লিভিংস্টোনের ব্যাটেই। ২০২১ আইপিএলের মিনি নিলামে ইংরেজ তারকাকে ৭৫ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল রয়্যালস।
স্বাভাবিকভাবেই প্রথম তিন ম্যাচের দু’টিতে হেরে বেশ কোণঠাসা রাজস্থান রয়্যালসের কাছে লিভিংস্টোনের না থাকাটা বেশ বড় ধাক্কা। প্রথম তিন ম্যাচ না খেললেও পরবর্তীতে এই মারকুটে ব্যাটসম্যানকে প্রয়োজনে ব্যবহার করতেই পারত উত্তরের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। চেন্নাই’য়ের বিরুদ্ধে হারের পর বৃহস্পতিবার আরসিবি’র মুখোমুখি হবে রয়্যালস।
নির্বাহী সম্পাদক