Home » বন্ধ অক্সিজেন সরবরাহ, ভেন্টিলেশনে থাকা ২২ রোগীর মৃত্যু

বন্ধ অক্সিজেন সরবরাহ, ভেন্টিলেশনে থাকা ২২ রোগীর মৃত্যু

নাসিক:

মর্মান্তিক! মহারাষ্ট্রের নাসিকের একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা ২২ রোগী অক্সিজেন না পেয়ে প্রাণ হারালেন। বুধবার সকালে নাসিকের জাকির হুসেন হাসাপাতালে এই ঘটনা ঘটে। হাপাতালে থাকা অক্সিজেন ট্যাঙ্কের লিকেজের জেরেই এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় হাসপাতালে ১৭১ জন রোগী ছিলেন।

নাসিকের হাসপাতালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে বিপত্তি। ভেন্টিলেশন সিস্টেমে থাকা ২২ রোগী প্রাণ হারালেন। ঘটনার খবর পেয়েই এদিন সকালে হাসপতালে পৌঁছে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নাসিক মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার কৈলাশ যাদব জানান, লিকেজের কারণে অক্সিজেন সরবরাহ প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বন্ধ ছিল। এই সময়ে যে রোগীরা ভেন্টিলেশনে ছিলেন তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। হাসাপাতালের অক্সিজেন ট্যাঙ্কটির রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। অক্সিজেন সরবরাহের গতি কমানো হয়েছিল। তার জেরেই বিপত্তি বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনই মনে করছেন নাসিকের কালেক্টর সুরজ মান্ধারে।

এদিকে, রাজ্য জুড়ে করোনার চোখ রাঙানির মধ্যে নাসিকের হাসপাতালের এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্য সরকারের। এদিন সকালে নাসিকের এই হাসপাতালে অক্সিজেন লিকেজের জেরে ২২ রোগীর মৃত্যুর পরেই বাকি রোগীদের অন্য হাসপাতালগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতাল কর্মীরাই উদ্যোগী হয়ে তাঁদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করেছেন। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের অক্সিজেন ট্যাঙ্কের লিকেজ মেরামতি করা হয়েছে। রোগীদের অন্য হাসপাতালে সরানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে, নাসিকের হাসপাতালে মর্মান্তিক এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। ভয়াবহ এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, ‘‘যেটাই ঘটে থাকুক তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রথমে ১১ জনের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছিল। ওই হাসপাতালে থাকা প্রত্যেক রোগীকে সাহায্য করতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি।’’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *