করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর ৪টি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করছে পুলিশ।সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে চকবাজারের জয়নগর এক নম্বর গলি, খুলশী থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এসবি নগর, ওয়ারলেস, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকাকে রোড জোনের আওতায় এনে মাইকিং করে ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শামসুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি সেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিক নগরীর চারটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
সিএমপি সূত্রে জানা যায়, কোনো এলাকায় করোনা সংক্রমণ পরীক্ষায় লাখে ৬০ জনের বেশি শনাক্ত হলে, সেই এলাকাকে রেড জোন ধরা হবে। তিন থেকে ৫৯ জন হলে ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নত করা হবে।
জানা গেছে, চকবাজারের জয়নগর এক নম্বর গলি, খুলশী থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এসবি নগর, ওয়ারলেস, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকা, ১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডের টাংকির পাহাড়, বাঘঘোনা, হাইলেভেল রোড ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ কলোনিতে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এইসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, ‘সংক্রমণ হার বিবেচনায় চকবাজার থানার জয়নগর ১ নম্বর গলি রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেড জোনে থেকে কেউ যেন বিনা প্রয়োজনে বের হতে না পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আর জরুরি প্রয়োজনে কেউ বের হলেও আমাদের সঙ্গে কথা বলে বা মহল্লা কমিটির সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। রেড জোন এলাকায় কাঁচা বাজারের দরকার হলে ভ্যান গাড়ি প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, করোনা রোগী বেশি পাওয়ায় থানার কয়েকটি এলাকাকে রেড জোনে ঘোষণা করা হয়েছে। রেড জোন এলাকায় মানুষের চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান