Home » বাঁচার জন্য ওষুধ নয়, সুরা চাই, দিল্লির মদের দোকানের লম্বা লাইন তাই বলছে

বাঁচার জন্য ওষুধ নয়, সুরা চাই, দিল্লির মদের দোকানের লম্বা লাইন তাই বলছে

নয়াদিল্লি: সোমবার থেকে আগামী ৭দিন দিল্লিতে তার ১০টা থেকে পরের সোমবার সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তার পরেই রাজধানীর বিভিন্ন মদের দোকানে মদ কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। সামাজিক দূরত্বের কোনও তোয়াক্কা না করে, মুখে মাস্ক না পরে মদের দোকানে লম্বা লাইন পড়েছে । ক্রেতাদের করোনা বিধি ভেঙে মদ কেনার সেই লম্বা লাইনের ছবি নিমেষে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

মদের দোকানের ভিড় দেখে কেউ মনেই করতে পারবে না দিল্লিতে করোনা এতটা ভয়াল ভাবে থাবা বসিয়েছে। মদ কেনার লাইন দেখে মনে হচ্ছে, ওষুধ নয় সুরা চাই। এই দৃশ্য দেখে বোঝা যাচ্ছে ৭দিন নেশার জিনিস না পাওয়ার ভয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ বেপরোয়া হয়ে মদের দোকানে লাইন দিয়েছে। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ, নারী রয়েছেন এই মদ কেনার লাইনে। ভাইরাল ভিডিও দেখে মনে হতে পারে মানুষের কাছে ভাত/রুটির চাইতে মদের চাহিদা বেশি। আবার মনে হতে পারে এক পেগ মদের জন্য করোনাকেও গুরুত্ব দিতে রাজি নয় এই লাইনে থাকা মানুষগুলো। কলকাতায় দীর্ঘ লকডাউনের মাঝে প্রথম যেদিন মদের দোকান খুলেছিলে সেদিন বিভিন্ন দোকানে সকাল থেকে মানুষ এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। তবে কলকাতা হোক বা দিল্লি, মদের টানে মানুষ যে জীবন বাজি রাখতে পারে দিল্লির এই মদের দোকানের লাইনে সেটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, “সোমবার রাত ১০ থেকে পরের সোমবার সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে দিল্লিতে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা এবং খাদ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।” কিন্তু মানুষের কাছে মনে হয় খাবারের থেকেও মদের চাহিদা বেশি। ভাইরাল হওয়া ছবি ভিডিও থেকে এমনটা মনে হতেই পারে।

দিল্লির খান মার্কেট, গোলে মার্কেটের মতো এলাকায় দেখা গেল, একের পর এক মদের দোকানের সামনে কয়েকশো ক্রেতার ভিড়। এই দিন ছয়েকের মদের স্টক ঠিক রাখতে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। সেই লাইনে মহিলা থেকে পুরুষ কেউ পিছিয়ে নেই। এক মহিলাতো দাবি করে বলসেন, “৩৫ বছর ধরে মদ খাচ্ছি। ওষুধের প্রয়োজন হয় না। ইঞ্জেকশনে কিছু লাভ হবে না। মদেই যা লাভ হওয়ার হবে।” সংবাদ সংস্থার ক্যামেরার সামনে করা সেই মন্তব্য এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

সাধারণত লকডাউনের জন্য কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়াল প্রশাসন । ওষুধ, খাবারের মতো পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হলেও বিয়ের মতো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে দিল্লিতে । বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি যোগদান করতে পারবেন না। এবং তাঁদের জন্যও দিল্লি সরকার আলাদা করে পাস ইস্যু করবে বলে জানানো হয়েছে । দিল্লির পরিস্থিতি দেশের সব থেকে খারাপ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। রবিবার দিল্লিতে নতুন করে সাড়ে ২৫ হাজার জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মদের দোকানের লম্বা লাইন যেন বলছে, “ওষুধ নয়, বাঁচার জন্য সুরা চাই।”

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *