অনলাইন ডেস্ক: হঠাৎ করেই স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেল জামাই! জামাই যে শাশুড়ির প্রতি এমন আসক্ত হয়ে পড়েছে- তা কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। এদিকে, শাশুড়ি-জামাইয়ের এমন কাণ্ডে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়েছে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।
ঘটনার পর নির্যাতিতা গৃহবধূ অনুরূপার পক্ষে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বামী প্রসেনজিৎ হাজরা, তার মা মঙ্গলীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। অনুরূপার সন্দেহ, কাজের টোপ দিয়ে কোথাও নিয়ে গিয়ে তার মাকে বিক্রি করে দিয়েছে স্বামী। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, কেতুগ্রাম থানার বহরান গ্রামে বাপের বাড়ি অনুরুপার। বাবা কৃষ্ণ বর্মন পেশায় হকার। তিনি ফুচকা বিক্রি করেন। অনুরূপার মা মঙ্গলীদেবী গৃহবধূ। অনুরুপা তাদের একমাত্র সন্তান। উচ্চ মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ অনুরুপাদেবী।
কেতুগ্রামের বাসিন্দা মলিন হাজরার ছেলে প্রসেনজিতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার প্রথম পরিচয় হয়। তারপর ২০১৬ সালে অনুরূপাদেবী পালিয়ে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎকে। প্রথমে বাড়িতে রাজি না থাকলেও পরে পরিবারের পক্ষে থেকে মেনে নেয়।
অনুরুপার বাবা কৃষ্ণ বর্মন বলেন, প্রসেনজিৎ মোবাইল ফোনে আমার মেয়ের কাছে আনন্দ মণ্ডল নামে ও নিজেকে ঠিকাদার হিসাবে প্রথমে পরিচয় দিয়েছিল। বিয়ের পর জানতে পারি ওদের মূল পেশা শুকর-পালন ও জনমজুরি। তবু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জামাইকে ব্যবসায় নামিয়েছিলাম। নিজের বাড়ির কাছে ঘর তৈরি করে দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমাদের সর্বনাশ করে চলে গিয়েছে প্রসেনজিৎ।
অনুরূপা জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে তার ১ বছরের ছেলে রণজিৎকে নিয়ে তিনি গত ৪ মে বাপের বাড়িতে আসেন। স্বামীও সঙ্গে ছিল। দু’দিন পর এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ৬ মে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর অনুরূপাদেবী তার মা ও ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন। পাশের ঘরে শুয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। কৃষ্ণবাবু ব্যবসার কাজে বাইরে ছিলেন। বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পর অনুরূপা দেখতে পান তার মা ও স্বামী বাড়িতে নেই। তারপর তিনি বাবাকে খবর দেন। প্রতিবেশীদেরও জানানো হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও দু’জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ৯ মে কেতুগ্রাম থানায় অনুরূপাদেবী নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও কেতুগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে দু’জনের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
আমি, বাবা ও আমার সন্তান- তিন জনের এখন অসহায় অবস্থা। কীভাবে বেঁচে থাকব সেটাই চিন্তার বিষয় বলে জানান অনুরূপা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
নির্বাহী সম্পাদক