Home » ধুমধাম করে দিদিকে বিদায় দিতে বিজেপি-র ২০০ আসন পাওয়া জরুরি : অমিত শাহ

ধুমধাম করে দিদিকে বিদায় দিতে বিজেপি-র ২০০ আসন পাওয়া জরুরি : অমিত শাহ

আউশগ্রাম, বর্ধমান :

অমিত শাহ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে যেভাবে ভাষণ দিচ্ছেন ও নির্বাচনের ফল সম্পর্কে যেভাবে নিজের পূর্বানুমান ঘোষণা করছেন তাতে স্পষ্ট যে বিজেপির এই রাজ্যে ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে শনিবার আউশগ্রামের জনসভা থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যা বললেন তার সুর কিন্তু আগের সভা গুলির মতো ততটা দৃঢ় ছিল না। অমিত শাহ এদিন তাঁর ভাষণের সুর কিছুটা নামিয়ে রীতিমত পরিশীলিতভাবে বললেন, “২ মে বাংলা থেকে দিদির বিদায় নিশ্চিত। তবে দিদিকে বিদায় দিন ধুমধাম করে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বড় নেত্রী। তাই ওঁকে ধুমধাম করে বিদায় করা উচিত।” আসলে অমিত শাহ এইভাবে রাজ্যের ভোটারদের মনে একটা স্নায়ুর লড়াই লড়িয়ে দিতে চাইছেন। তাই একেক দফায় রাজ্যে প্রচারে এসে একেক রকমের কৌশল প্রয়োগ করছেন।

অমিত শাহ ধুমধাম করে বিদায় মানে কী বোঝাতে চাইলেন সেটাও নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন এদিনের বক্তব্যে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন,”মমতা দিদি অনেক বড় নেত্রী। ১০ বছর ধরে বাংলার মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন তিনি। এমন একজন নেত্রীর বিদায় একটু সম্মানের সঙ্গে হওয়া উচিত। একটু ধুমধামের সঙ্গে হওয়া উচিত।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাফ কথা, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিদায় তখনই ধুমধাম করে হবে, যখন বাংলায় বিজেপি দুশোর বেশি আসন পাবে।” তার মানে অমিত শাহের মনে কী সংশয় ২০০ আসন পাওয়া নিয়ে আছে ? কেননা “এই বার ২০০ পার” স্লোগানটা অমিত শাহই বাংলার রাজনীতিতে আমদানি করেছেন। তাই এই স্লোগানের মর্যাদা রাখা তাঁর দায়িত্ব। তবে বাংলার ভোটাররা এই প্রশ্নে অমিত শাহকে কতটা মান্যতা দেবেন সেটা সময় বলবে। এসব বুঝেই হয়তো বাংলার ভোটারদের কাছে শাহর অনুরোধ, “মমতার সুযোগ্য বিদায় নিশ্চিত করার জন্য বিজেপিকে ২০০-র বেশি আসনে জেতান।” আউশগ্রামের পাশাপাশি শনিবার আরও দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল শাহর। ছিল আমডাঙায় রোড শো এবং নদিয়ার চাপড়ায় জনসভা। দুটি জনসভা থেকেই রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন শাহ। রাজ্যের ভোটপ্রচারে প্রথম থেকেই অনুপ্রবেশ, মতুয়াদের নাগরিকত্বের মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করেছেন শাহ। রাজ্যের আগামী তিন দফার ভোটের ক্ষেত্রেও বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ মতুয়া ভোটব্যাংক। তাই এদিনে জোড়া সভা থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করেন অমিত শাহ। তাঁর স্পষ্ট দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে সিএএ কার্যকর করা কেউ আটকাতে পারবে না। সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশকারীরা তো দূরের কথা, কোনও পাখিও এপ্রান্তে আসতে পারবে না। তবে এটাও মনে রাখতে হবে এই অমিত শাহই ঠাকুরনগরে সভা করে বলে গেছিলেন, করোনা টিকাকরণ শেষ হলে এই আইন কার্যকর হবে। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে নাগরিকত্বের প্রশ্নে অসত্য কথা বলছেন বলে বিঁধেছেন। এখন দেখা যাক অমিত শাহর হাতে বাংলার মানুষ ২০০ আসন তুলে দিদির বিদায় ধুমধামের সঙ্গে করার পরিবেশ তৈরী করে দেন কি না।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *