বেঙ্গালুরু
: কোভিডের কারণে কোনও পরীক্ষা এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ড. সিএন অশথ্য নারায়ন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নির্দষ্ট সময়ের নিরিখে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্নাতকোত্তর, ডিপলমা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে তাদের চাকরির জীবনে ক্ষতি হতে পারে বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারায়নজি।
গোটা দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রায় কুপোকাত সকলে। একাধিক রাজ্যে ফের সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয়েছে কার্ফু এবং লকডাউন। মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, রাজস্থাণ, অসম, দিল্লির মতো একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের কারণে পড়ুয়াদের কথা ভেবে পুনরায় স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই রাজ্যগুলি নিচু ক্লাসের সঙ্গে ৯, ১০, ১১ পড়ুয়াদের বিনা পরীক্ষায় উচ্চতর ক্লাসে উত্তীর্ণ করার কথাও ঘোষণা করে। তবে এই সময়ে বাকি রাজ্যের মতো এক রাস্তায় না হেটে বরং একটি বিপরীত রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায় ভারতের দক্ষিনের রাজ্য কর্নাটককে।
শনিবার সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার পরে কর্নাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা সেই রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীও ড. সিএন অশথ্য নারায়ন সাংবাদিকদের জানান, কোনও পরীক্ষা এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হবে না এবং নির্ধারিত সময়সূচী অনুসারে এগুলি অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক করা সময়ে উচ্চশিক্ষা ডিগ্রি গুলি যেমন স্নাতকোত্তর, ডিপলমা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আরও অন্যন্য বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং তার কোনও পরিবর্তন করা হবে না।
তিনি এর সঙ্গে আরও যোগ করে বলেন, কোভিডের কারণে ২০২১-২২ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ইতিমধ্যে বিলম্বিত হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়াটিতে আর বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। আরও সময় অতিবাহিত করা হলে ভবিষ্যতে কোর্স, পরীক্ষা, ফলাফল, কর্মসংস্থান চক্রের ক্ষেতের সমস্যা সৃষ্টি হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।
এই পরিস্থিতিতে অফলাইন ক্লাসের বিষয়ে ড. সিএন অশথ্য নারায়ন উল্লেখ করেন ছাত্র এবং শিক্ষকদের কথা মাথায় রেখে এসওপি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটা শ্রেণিকক্ষকে স্যানিটাইজেশন, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষণাবেক্ষণ, কোভিড পরীক্ষা, শারীরিক দূরত্ব রক্ষণাবেক্ষণ এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে অফলাইন ক্লাসের জন্য।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোভিদের জন্য কর্ণাটকে ইন্ট্রিগ্রেটেড লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে। বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাসের জন্য ২.৭০ পড়ুয়াকে সরকারের তরফে ট্যাব দেওয়া হয়েছে বলেও এই তথ্যে জানানো হয়। এর পাশাপাশি ছাত্রদের পড়াশোনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলবার জন্য প্রতিটা ক্লাসকে স্টুডিতে রূপান্তরও করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক