দিনভর ঘরের কাজ বা অফিসে ব্যস্ত সময় পার করার পর পার্লারে গিয়ে মাসাজ কিংবা ফেশিয়ালের সময় হয় না অনেকেরই। তার মধ্যে এই গরমের মধ্যে আবার ছুটির দিনেও রোদ মাথায় নিয়ে পার্লার যেতে মন চায় না অনেকেরই। তবে রয়েছে সমাধান। ঘরেই নিজের জন্য বার করে নিন পাঁচটা মিনিট। শসা এই গরমে আপনার একমাত্র সম্বল হতে পারে রূপচর্চায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার পাশাপাশি আবার ত্বকে ধরে রাখবে ঠাণ্ডাভাবও। তাই প্রতিদিন স্যালাডের মেনুতে শসা খাওয়ার পাশাপাশি রুপচর্চায়ও রাখুন এই সব্জি।
চোখের যত্ন:
দিনভর কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে কাজ থাকার পর চোখও চায় বিরাম। দু’টো টুকরো শসা গোল করে কেটে, জলে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দেবেন। কাজের শেষে মাত্র পাঁচটা মিনিট চোখ বন্ধ করে তার উপর রেখে দিন দুটি শসার টুকরো। চোখের তলার কালি বা ফোলা ভাব কমে গিয়ে সতেজ দেখাবে।
ত্বকের যত্ন: শসা দিয়ে একটা মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগান। এই সময়টায় আপনার যেমন বারবার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জল তেষ্টা পাচ্ছে, ত্বকেরও তেমনই হচ্ছে সেটা মাথায় রাখবেন। শসা কুচি করে একটু বেটে নিতে হবে। এবার সামান্য ঠান্ডা দুধ মিশিয়ে নিন তার সঙ্গে। একটি পাত্রে সেই মাস্ক ভরে রেখে দিন ফ্রিজে। ঘরের কাজের ফাঁকে সেই মাস্ক এক চামচ মেখে তা শুকিয়ে নিন কিছুক্ষণ নিজের সময় অনুযায়ী। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখ। ক’দিনেই ঝলমল করবে রুক্ষ হয়ে যাওয়া ত্বক।
শসা ভেজানো জল:
মাস্ক মাখারও যদি সময় না পান, তবে একটা পাত্রে জল ভরে নিয়ে তাতে শসা কেটে ফেলে রেখে দিতে হবে। রাতভর তেমন ভাবেই থাকতে দিন সেই জল। সকালে চোখ-মুখ ধোয়ার সময়ে শসা দেওয়া সেই জল ব্যবহার করুন। শসার ভিটামিন-সি আর ফলিক অ্যাসিডের যত্নে সারাদিনের কাজের পরও মন ও ত্বক থাকবে ঠান্ডা। এছাড়াও আপনি ফেসওয়াশ করতে পারেন শসা দিয়েই। শসার ফেসওয়াশ অনলাইনে পাওয়া যায়। এই গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে তা কেনার থেকে সহজে এখানেই কিনে নিতে পারেন নিজে পছন্দ করেই।
নির্বাহী সম্পাদক