অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছর বইমেলায় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার ‘গোলাপি জমিন’ নামের একটি উপন্যাস ও ‘রাস্তার ধারের গাছটির কোনো ধর্ম ছিলো না’ শিরোনামের একটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। এই দুই বইয়ের জন্যই মেলায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পাঠক ও ভক্তদের অটোগ্রাফ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সেই মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন একজন নেটাগরিক। ছবিগুলো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই পোস্টটি নজর এড়ায়নি ভাবনার।
বইমেলায় তোলা ভাবনার ছবি দুটি পোস্ট করে পূর্ব মিজান নামে একটি আইডি থেকে লিখেছেন, ‘বর্তমানে ফেসবুকের বদৌলতে এই রকম আইটেম লেডিস, স্লিভলেস পরা মহিলা কবি দেখতে পাবেন। আসল কথা হচ্ছে নিজের ইজ্জতকে, নিজের সম্মানকে প্রথমে সম্মান করার দায়িত্ব নিজেরই। অন্য কেউ যখন বলবে মেয়েরা মায়ের জাত, মেনে নিলাম মেয়েরা মায়ের জাত কিন্তু এইসব নির্লজ্জ, অজাত কুজাত কখনো মায়ের জাত হতে পারে না। আর যারা এদের পক্ষ নিয়ে এসব আইটেম লেডিস কবিদের সাপোর্ট করে, আমি মনে করি ওরাও জন্মগত সমস্যায় ভুগছে। ওরা হচ্ছে বডি আর চেহারা দেখানো কবি। বাংলা সাহিত্যটাকে একদম শেষ করে দিচ্ছে ওরা আর ওদের পক্ষ নিয়ে যারা কথা বলে তারা।’
এমন পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে ভাবনা এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘আমার দোষ আমি হাতাকাটা ব্লাউজ পরে বইমেলায় গিয়েছি? সত্যি! আমাদের নানি-দাদিরা এখনো হাতাকাটা ব্লাউজ পরে থাকেন। এই ছবিটি সবাই পোস্ট করছে, আমাকে নিয়ে বাজে কথা লিখছে। অশ্লীল বলছে! যারা পোস্ট করে বাজে লিখছে তারা বেশিরভাগ পুরুষ। সব পুরুষকে খারাপ বলব কী করে, আমার বাবা তো আমাকে কখনো বলে দেয়নি কী পোশাক পরা উচিত? আমি কী পরব? আমরা নারীরা কি পরব তা ঠিক করবেন আপনি? আমার সত্যি কিছু বলার নেই।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘গত তিন-চার দিন ধরে আমি খুবই বিরক্ত এবং হতাশ। আমরা আসলেই কি নারীর সম্মান কখনই দিতে পারব না?’
ভাবনা বলেন, ‘একটি শ্রেণি সারাদিন ফেসবুকে পড়ে থাকে শুধু মেয়েদের ছবির নিচে বাজে মন্তব্য করার জন্য। এদের কাজ নেই। সারা দিন এরা ওঁৎ পেতে থাকে কখন মেয়েরা ছবি পোস্ট করবে আর সেখানে তারা বাজে মন্তব্য করবে। এরা নিম্ন মানসিকতার। এদের মন্তব্য আমি দেখি না। কিন্তু দিনশেষে আমিও তো মানুষ, আমারও তো পরিবার আছে, কত সহ্য করা যায় এসব। এসব নিম্ন মানসিকতার মানুষদের চিকিৎসা করা উচিত। এদের চিকিৎসা হলো শাস্তি।’
-আরটিভি
নির্বাহী সম্পাদক