Home » করোনায় টালমাটাল বিশ্ব, একদিনে প্রায় ১৪ হাজার মৃত্যু

করোনায় টালমাটাল বিশ্ব, একদিনে প্রায় ১৪ হাজার মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনায় টালমাটাল বিশ্ব, একদিনে প্রায় ১৪ হাজার মৃত্যু
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না

করোনাভাইরাসের কারণে অনেকটা টালমাটাল অবস্থায় সারাবিশ্ব। কোনোভাবেই থামছে না ভাইরাসটির ভয়ংকর তাণ্ডব। বিশ্বের কোনো না কোনো দেশে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন রেকর্ড। বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, বাড়ছে আক্রান্ত।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মোট ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণহানি হয়েছে ২৯ লাখ ১৫ হাজার ১২ জনের। গত একদিনে করোনায় ৭ লাখ ৩৯ হাজার ১৩০ আক্রান্ত এবং ১৩ হাজার ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য বলছে, ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৬ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৭ জনের।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় হলেও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৯৫৪ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৪ জন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৮ জন, রাশিয়ায় ৪৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৩২১ জন, ইতালিতে ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ৬০২ জন, তুরস্কে ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৬ জন, স্পেনে ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৭ জন, জার্মানিতে ২৯ লাখ ৫১ হাজার ৮২৯ জন, পোল্যান্ডে ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৭ জন এবং কলোম্বিয়ায় ২৪ লাখ ৯২ হাজার ৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৯৮ হাজার ৬৫ জন, রাশিয়ায় এক লাখ এক হাজার ৮৪৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৬ হাজার ৯৮০ জন, ইতালিতে এক লাখ ১২ হাজার ৮৬১ জন, তুরস্ক ৩৩ হাজার ২০১ জন, স্পেন ৭৬ হাজার ১৭৯ জন, জার্মানি ৭৮ হাজার ৪৭৩ জন, পোল্যান্ডে ৫৬ হাজার ৬৫৯ এবং কলোম্বিয়ায় ৬৫ হাজার ০১৪ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *