নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ানীবাজারের গজুকাটা সীমান্ত এলাকায় মসজিদ নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএপের বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্ত এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বিএসএফ বাঙ্কার বানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জোয়ানরাও সীমান্তে অবস্থান নিয়ে আছেন বরে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে বিজিবি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করে।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যান্টে কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী জানান, ভারতীয় বাহিনী জিরো লাইনের ১৫০ গজের ভেতরে বাঙ্কার বানিয়ে প্রবেশ করেছে। তারা সীমান্ত আইন না মেনে এমন কাজ করেছে। আমরা তাদেরকে চিঠি দিয়েছি, আশা করি মঙ্গলবার বিকালে বৈঠকে সমস্যার সমাধান হবে। মসজিদ পুন:নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে বিএসএফ অন্যায় করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বরেন, তারা (বিএসএফ) সীমান্ত আইন লংঘন করে ২০০ বছরের পুরনো মসজিদ পুণ:নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করেছে। এ ঘটনায় গজুকাটা সীমান্তসহ আওতাধীন সব এলাকায় বিজিবি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
তবে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান (গণমাধ্যম) বলেন, বিয়ানীবাজারের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের কোনও ঘটনা জানা নেই।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা সীমান্ত এলাকার ১৩৫৭ নম্বর পিলারের ভেতরে বাংলাদেশ অংশে গজুকাটা গ্রামের ২০০ বছরের পুরনো কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাকা ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী তা ফের নির্মাণের উদ্যোগ নেন। দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আফতাব উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রামবাসী নেওয়ার পর তারা বিজিবির সহায়তা চান। তৎকালীন বিজিবি-৩২ ব্যাটলিয়ানের কমান্ডার বিএসএফের কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলে তারা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণ কাজের নিচ অংশের পিলারসহ আনুষাঙ্গিক কাজ শেষে ছাদ ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুতির এক পর্যায়ে বিএসএফ সরাসরি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা দেয়।
মসজিদের ইমাম হাফিজ বিলাল আহমদ জানান, বিএসএফের বাধার পর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ২০০ বছরের প্রাচীণ এই মসজিদ নির্মাণ কাজে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে। বিএসএফ মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় ধর্মপ্রাণ মানুষের ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান