সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীনের (৫০) ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আরও ২৮ আসামির ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিংহ এ আদেশ দেন।
সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শহিদুল ইসলাম (৫০) হামলার মূল উসকানিদাতা। দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাসনি গ্রামের বাসিন্দা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তিনি। শহিদুলকে গত শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজারেরর কুলাউড়া উপজেলা শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবুল বাশার গত রোববার শহিদুলকে ১০ দিন এবং আগে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২৯ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয় আজ। আদালত ৩০ জনের মধ্যে ১ জনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন।
১৭ মার্চ সকালে ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে চার গ্রামের মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় শাল্লা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বাদী হয়ে করা মামলায় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদারের করা মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিলেটভিউ
প্রতিনিধি