সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, সিলেটে ট্রাফিক পক্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশ নিরীহ গাড়িচালকদের অন্যায়ভাবে হয়রানি এবং বিভিন্ন সময় গাড়ি আটকে চাঁদা দাবি করছেন। অনেক সময় গাড়ির সকল কাগজ ঠিক থাকলেও অন্যায়ভাবে গাড়ি র্যাকার করা হচ্ছে। এমনই একটি ঘটনা রোববার দুপুরে টিলাগড় সরকারি কলেজের সম্মুখে ঘটেছে।
জানাযায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে এ ট্রাফিক পক্ষ শুরু হয়েছে ১৫ মার্চ, চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ট্রাফিক পক্ষ চলাকালীন সিলেট মহানগরীর সড়কগুলোতে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আবদুল মতিন বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টিলাগড় সরকারি কলেজের সম্মুখস্থ ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে রাস্তার পাশে একটি পিকআপ দাঁড় করিয়ে রাখেন চালক। কিন্তু এই গাড়িটিও র্যাকার করতে চলে আসেন একজন ট্রাফিক পুলিশ। এসময় তিনি একটি মামলাও দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেন এবং ঘণ্টাখানেক রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। পরে শাহপরাণ থানাপুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
আবদুল মতিন বলেন, পরে বিষয়টি সুরাহার স্বার্থে আমরা ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেই মামলাও তুলে নেননি এবং আমাদের সন্তোষজনক কোনো সামাধান দেননি।
সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসবো। বিষয়টির সমাধান না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে পারি।
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ রোববার বিকেলে বলেন, সিলেট মহানগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মানতে উৎসাহিত করা, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ট্রাফিক পক্ষ পালিত হচ্ছে। ট্রাফিক পক্ষ চলাকালীন মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু এমন অভিযান পরিচালনা করে দোষী চালকদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে গেলেই পরিবহন শ্রমিকরা বাধা দেন এবং যখন-তখন সড়ক অবরোধের হুমকি দেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান