Home » সুনামগঞ্জের শাল্লা হামলার ঘটনা: মামলায় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে: পুলিশ

সুনামগঞ্জের শাল্লা হামলার ঘটনা: মামলায় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে: পুলিশ

সুনামগঞ্জের শাল্লায় ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষের করা মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অন্যদিকে, এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশের করা মামলায় বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক এ তথ্য জানান।

গ্রামবাসীর পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যানের মামলায়ও এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে এবং এজাহারনামীয় ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদরুল হাসান খান। তিনি বলেন, ‘মামলার বাদী এজাহারনামীয় আসামিদের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।’

শাল্লা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন। একপর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে মঙ্গলবার রাতে তাকে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে বুধবার সকাল থেকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *