Home » প্রিয় নায়ক সালমান শাহর ছবিগুলো এখনও বারবার দেখি: চিত্রনায়িকা মাহি

প্রিয় নায়ক সালমান শাহর ছবিগুলো এখনও বারবার দেখি: চিত্রনায়িকা মাহি

ঢাকাই ছবির চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রিতে তার প্রিয় নায়ক-নায়িকা কে? কোনো প্রকার ভণিতা না করেই মাহিয়া মাহি বললেন, সালমান শাহ-শাবনূর।

এরপর বলা শুরু করেন মাহিয়া মাহি। বলেন, প্রিয় ছবির কথা মনে হলেই একে একে চলে আসে সালমান-শাবনূর জুটির ছবিগুলোর নাম। নব্বই দশকে এই জুটি যাদের হৃদয় জয় করেছেন, আমিও তাদের একজন। ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বিক্ষোভ’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, তোমাকে চাই’, ‘সুজন সখী’, ‘মহামিলন’ থেকে শুরু করে তাদের কোনো ছবি দেখা বাদ দেইনি। সময় পেলে এখনও এই জুটির ছবি দেখতে বসে যাই।

সালমান শাহর  কোন ছবির দৃশ্য এখনও মাহির চোখের সামেন ভেসে উঠে? প্রশ্ন রাখলে মাহি বলেন,  প্রতিটি ছবির কোনো না কোনো দৃশ্য এখনও মনের পর্দায় ভেসে উঠে। ‘বিক্ষোভ’ ছবিতে শহীদ মিনারের সামনে সালমান-শাবনূরের প্রতিবাদী সেই গান ‘একাত্তরের মা জননী’  দারুণ আলোড়ন তুলেছিল। আমিও গাইতাম গুনগুন করে। ‘সুজন সখী’তে সেই রেলব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ার দৃশ্য কি ভুলে থাকা যায়? যায় না বলেই তো এখনও চোখে ভাসে। ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবিতে সালমানের অসুস্থতা আর শাবনূরের ‘ত্যাগ’, মনে দারুণ আঁচড় কেটেছিল। অভিনয় দিয়ে সালমান-শাবনূর যেমন মনে ছাপ ফেলেছিলেন, তেমনি মনের মধ্যে বপন করে দিয়েছেন অভিনয়ের বীজ।

মাহিয়া মাহি যে চলচ্চিত্রের রঙ্গিন দুনিয়া পা রাখবেন তা তার চিন্তাতেও ছিলো না। অথচ তিনি আজ ঢাকা সিনেমার নায়িকা। বলা যায় জনপ্রিয় নায়িকাই। মাহি বলেন, ভবিষ্যতে এই আমি অভিনয় ভুবনে পা রাখব তা আমার চিন্তাতেও ছিলো না।। কিন্তু যখনই চলচ্চিত্রের এই রঙিন ভুবনে পা রেখেছি, তখন থেকে স্বপ্ন বুনন শুরু হয়েছে প্রিয় এই দুই শিল্পীর মতো কিছু কাজ করে দেখানোর, যে কাজগুলো দর্শক অনেক দিন মনে রাখবে। যাই হোক, প্রিয় ছবির কথায় ফিরে আসা যাক। অনেক নামের ভিড়ে বারবার মনে আসে যে ছবির কথা, তা হলো ‘স্বপ্নের নায়ক’। এই ছবিতে সালমান শাহ যে লুকে দর্শকের সামনে এসেছিলেন, তা ছিল একেবারে নতুন। আমাদের দেশের কোনো ছবিতে নায়কদের এতটা আধুনিক এর আগে চোখে পড়েনি।

কথায় কথায় মাহিয়া মাহি সালমান শাহকে নিয়ে বলেন, সালমান সেই অভিনেতাদের একজন, যে ফ্যাশনে অন্যদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতেন। ‘বৃষ্টিরে বৃষ্টি’ গানের যে পারফরম্যান্স- তা সে সময়ে অনেকের কাছে কিছুটা হলেও ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে। এদেশে অনেকে যখন বলিউড ছবি বলতে পাগল, সেই সময়ে সালমান শাহ তার ছবি দিয়ে দেশীয় দর্শককে হলমুখী করেছেন। অন্যান্য দেশে যে বাজেটে ছবি নির্মাণ করা হয়েছে, তার চার ভাগের এক ভাগও খরচ হয়নি আমাদের ছবিতে। অথচ সেসব ছবি দেখতেই দর্শক ভিড় করেছে প্রতিটি সিনেমা হলে। তাই ছবির মতো দর্শক ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো বিষয়। সময়ের সঙ্গে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করেছেন, তাদের কাজ তো ভুলে থাকা যায় না। তাই সালমান শাহর ছবিগুলো এখনও বারবার দেখি। মাহি আরও বলেন, এখনও আগের মতোই অবাক হই তার অনবদ্য অভিনয় ও ফ্যাশন সচেতনতা দেখে। বলিউড ছবি দেখতে গিয়েও তাই মাঝে মাঝে মনে হয়, সালমান জানতেন অভিনয়ের প্রতিযোগিতা কীভাবে করতে হয়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *