দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে আগামী ২১ মার্চ থেকে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। মাঠে নেমে পুলিশ করোনারোধে জনসচেতনা সৃষ্টি করবে। মাস্ক বিতরণ করবে।
‘মাস্ক পরার অভ্যেস, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’- স্লোগানে দেশব্যাপী উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করবে পুলিশ। করোনা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২১ মার্চ থেকেই সারা দেশে মাঠে নামবে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগের পুলিশ অডিটরিয়ামে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ২১ মার্চ থেকে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হবে। এ সময় দরকার হলে পুলিশ জনগণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করবে। কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুলিশের সঙ্গে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাদেরকে সাদর আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের এক বছর পার হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল উদ্যোগ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং দেশের জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি। করোনা মোকাবেলায় যে আটটি দেশ সাফল্য দেখিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম। আবার, করোনার টিকা পাওয়া ২২টি দেশের তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ।’
ড. বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। করোনার টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। আমাদের দেশের লোকসংখ্যা ১৮ কোটি। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম গতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় শিথিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘আমরা আকস্মিকভাবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করছি। প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। আবার দেশের অর্থনীতিও সচল রাখতে হবে। আমরা চাই না, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ অসুস্থ হোক অথবা কারো মৃত্যু হোক। এজন্য করোনা মোকাবেলায় প্রত্যেককে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে ভুলে যাওয়া যাবে না।’
এ সময় ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সেজন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘করোনার এ সময় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন না করাই ভালো। কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করতে হলে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি পাওয়া গেলেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে তার আয়োজন করতে হবে।
প্রতিনিধি