Home » জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী : ১৭ থেকে ২৬ মার্চের আয়োজনে যা থাকছে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী : ১৭ থেকে ২৬ মার্চের আয়োজনে যা থাকছে

জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ থেকে ২৬শে মার্চ প্রতিদিনই জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়বস্তু।

১৭, ১৯, ২২, ২৪ ও ২৬শে মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দর্শক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হলেও, বাকি ৫ দিনের অনুষ্ঠান হবে ভার্চুয়ালি। অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেবেন ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।

১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে চীনের উপহার বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে। পরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হবে। সরাসরি বক্তব্য রাখবেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং সভাপতির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অনুষ্ঠানে নাচ পরিবেশন করবেন ভারতের শিল্পীরা।১৯শে মার্চ অনুষ্ঠানের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় থাকবেন শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা। এছাড়া সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানের পাশাপাশি লোকসঙ্গীত, নৃত্যনাট্য ও কবিতা আবৃত্তি উপভোগ করবেন দর্শকরা।

২০শে মার্চ অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘মুজিব চিরন্তন’ থিমের ওপর এ্যানিমেশন ভিডিও দেখানো হবে। পরে ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসুফ আল ওথাইমিনের ভিডিও বার্তা প্রচারিত হবে। সাংস্কৃতিক পর্বে বিশেষ আকর্ষণ থাকবে জাপানি শিল্পীদের পরিবেশনা।২১শে মার্চের থিম ‘ধ্বংসস্তুপে জীবনের গান’। আলোচনা পর্বে জর্ডানের বাদশা আবদুল্লা-২ বিন আল হোসেইনের ধারণ করা ভিডিও প্রচার করা হবে। পরের পর্বে মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

২২শে মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগার ভিডিওবার্তা প্রচার করা হবে। সরাসরি বক্তব্য রাখবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি মিজ বিদ্যা। সাংস্কৃতিক পর্বে অন্যদের সাথে থাকবেন নেপালের শিল্পীরা।

২৩শে মার্চ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে। পরে সুইজারল্যান্ডের শিল্পীদের পারফরমেন্সের ভিডিও দেখানো হবে।

২৪শে মার্চ দেখানো হবে পোপ ফ্রান্সিসের ভিডিও বার্তা। বক্তব্য রাখবেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় থাকবেন ভূটানের শিল্পীরা।

২৫শে মার্চের থিম ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চাং সে কাইয়ুন ও জাপানের সফল রাজনীতিক তাকাশি হায়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হায়াকাওয়ার ধারণ করা ভিডিও প্রচার করা হবে। সাংস্কৃতিক পর্বে নানা পরিবেশনায় তুলে ধরা হবে কালরাত্রির ভয়াবহতা। এছাড়া থাকবে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পীদের পরিবেশনা।

২৬শে মার্চের থিম স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা। বক্তব্য রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো উন্মোচন করবেন শেখ হাসিনা।

পরে ভারতের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় থাকবে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পরিবেশনায় সৃজিত রাগ মৈত্রি পরিবেশনা। শেষদিন ১৭ থেকে ২৫শে মার্চ- নয় দিনের অনুষ্ঠানের চৌম্বক অংশ ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার’ শীর্ষক অডিও ভিজ্যুয়াল দেখানো হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *