সিলেটে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে থাকলেও মার্চ থেকে বেড়েছে আক্রান্ত। আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সিলেট বিভাগের ৭ করোনা ডেডিকেডেট হাসপাতাল। সিলেট বিভাগের ৭ করোনার ডেডিকেডেট হাসপাতালে জেনারেল বেড রয়েছে ৪২৬টি, আইসিইউ বেড রয়েছে ২১টি, অক্সিজেনেরে সিলিন্ডার রয়েছে ৫৪৫টি, নজেল কেনোলা ১৯টি থাকলেও ভেন্টিলেটর রয়েছে ৯টি এবং কনসেন ট্রেইনর রয়েছে ২৫টি।
এদিকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধাসহ করোনার রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, হাই ফ্রো নজেল, ভেন্টিলেটরের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৫টি আইসিইউ বেড থাকলে বিভাগের অন্যান্য করোনার ডেডিকেডেট হাসপাতালে নেই আইসিইউ ব্যবস্থা। সিলেট বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ২টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা হলেও এগুলো এখনও ইনস্টল হয়নি। সেই সাথে এই হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট ও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের লাইনের কাজ চলমান রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া। তিনি বলেন, বিভাগের করোনার ডেডিকেডেট হাসপাতালগুলোর কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তবে হাসপাতালে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। করোনার ডেডিকেডেট হাসপাতালগুলো সবসময় তদারকি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে করোনায় ৩০জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাথে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৬জন। এছাড়া বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩১জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিলেট বিভাগে করোনায় ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৪৭জন। সেই সাথে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৮২৮জন।
জানা যায়, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে জেনারেল বেড রয়েছে ৮৪, আইসিইউ বেড ১৬, অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ২৬১, নজেল কেনোলা ৭, ভেন্টিলেটর ৯ ও কনসেন ট্রেইনর ৬টি। সিলটের খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল জেনারেল বেড রয়েছে ৩১টি থাকলেও আইসিইউ বেড রয়েছে ৮টি। সেই সাথে সিলিন্ডার অক্সিজের রয়েছে ১৩। নজেল কেনোলা ও ভেন্টিলেটর সুবিধা নেই। এই হাসপাতালে কনসেন ট্রেইনর রয়েছে ৫টি।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার উপজেলা হাসপাতালে জেনারেল বেড রয়েছে ১শত। আইসিইউ বেড নেই। অক্সিজেনের সিলিন্ডার ১০টি থাকলেও নজেল কেনোলা নেই। হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সুবিধা না থাকলেও কনসেন ট্রেইনর রয়েছে ৬টি ও কনসেন ট্রেইনর রয়েছে।
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ১শত জেনারেল বেড থাকলেও আইসিইউ বেড নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার ১১৮টি থাকলেও ভেন্টিলেটন ২টি এখনও ইনস্টল হয়নি। সেই সাথে নজেল কেনোলা সুবিধা রয়েছে ৫টি ও কনসেন ট্রেইনর রয়েছে ৫টি। এই হাসপাতালে অক্সিজেন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের কাজ চলমান। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে জেনারেল বেড ১শত থাকলেও এখানে নেই আইসিইউ বেড। অক্সিজেন সিলিন্ডার ৮৮টি থাকলেও ভেন্টিলেটন নেই। সেই সাথে নজেল কেনোলা সুবিধা রয়েছে ২টি ও কনসেন ট্রেইনর রয়েছে ৩টি।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে জেনারেল বেড রয়েছে ৫০টি। সেই সাথে আইসিইউ বেড রয়েছে ৫টি। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ৫০টি। নজেল কেনোলা ৫টি থাকলেও হাসপাতালে নেই ভেন্টিলেটর ও কনসেন ট্রেইনর। রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০টি জেনারেল বেড থাকলেও আইসিইউ নেই। অক্সিজেনের সিলিন্ডার ৫টি থাকলেও নেই নজলে কেনোলা, ভেন্টিলেটর সুবিধা ও কনসেনট ট্রেইনর।
প্রতিনিধি