ডেস্ক নিউজ :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিআইএ পরিচালক হিসেবে জিনা হাসপেলকে মনোনয়ন দিলে তার বিরোধিতা করেছিলেন নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম সিনিয়র সিনেটর জন ম্যাককেইন। বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল (ইনহ্যাস্নড ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম) প্রয়োগে সংশ্লিষ্টতার কারণে ম্যাককেইন তার মনোনয়নের বিরোধিতা করলেও কয়েকজন ডেমোক্র্যাটের সমর্থন পেয়ে মনোনয়নে টিকে যান হাসপেল। সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সামনে প্রশ্নোত্তরের সময় হাসপেল বারবার জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে একটি কুখ্যাত গোপন কারাগার পরিচালনায় নিজের ভূমিকার কথা বলেছেন। ওই কারাগারে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীরা ওয়াটারবোর্ডিং এর শিকার হয়েছিল। সিআইএ’র ওয়াটারবোর্ডিং নামের জিজ্ঞাসাবাদ কৌশলে বন্দির মুখ ঢেকে দিয়ে ক্রমাগত পানি ঢালা হতো। এতে বন্দি নিজেকে ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে অনুভব করতো। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর সিআইএ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের ওপর এই কৌশল প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে। তবে হাসপেল এখন বলছেন, প্রেসিডেন্ট চাইলেও সিআইএ আর এই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করবে না। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একজন যিনি প্রেসিডেন্টের নির্যাতন ফিরিয়ে আনার মতো অবৈধ ও নীতিবহির্ভূত আদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবেন। তবে হাসপেলের নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়ে বিরোধিতা করেছিলেন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য ওয়ার্নার।
হাসপেল তাকে একটি চিঠি লেখার পরে নিজের মত পাল্টান বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই চিঠিতে হাসপেল লিখেছিলেন, নিজের শুভবুদ্ধির সুযোগ নিয়ে এবং একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন নেতা হিসেবে বলতে চাই ইনহ্যাস্নড ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম সিআইএ আর চালিয়ে যাবে না। ৩৩ বছর ধরে সিআইএ’তে কাজ করা ঝানু গোয়েন্দা হাসপেল তার পূর্বসুরী মাইক পম্পেও এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পম্পেও-এর নিয়োগ চূড়ান্ত হলে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন হাসপেল। সমালোচনা সত্ত্বেও সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির কাছে ব্যাপক সম্মান পেয়েছেন হাসপেল। তার সমর্থনে গলা মিলিয়েছেন সিআইএ’র সাবেক কয়েকজন পরিচালকও। ১৯৮৫ সালে সিআইএ’তে যোগ দিয়ে সংস্থার হয়ে প্রায় ২০টি আলাদা ধরনের কাজ করেছেন তিনি। দেশের বাইরেও সংস্থার হয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
বার্তা বিভাগ প্রধান