সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল সড়কে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এতে করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডিপুল এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার যায়গা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। বুধবার দুপুর থেকে চন্ডিপুল সড়কে অবস্থান নেন পরিবহণ শ্রমিকরা।
এর আগে বেলা একটায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন মেয়র ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপরও হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে চৌহাট্টা এলাকায়।
পরে চৌহাট্টা থেকে পরিবহণ শ্রমিকদের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডিপুল এলাকায় এসে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা এলোমেলো গাড়ি দাড় করিয়ে রেখে অবস্থান নেয়। তখন তারা চৌহাট্টায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও পূর্বের স্থান স্ট্যান্ডের জন্য বহাল রাখার দাবি জানান। তাদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা বন্ধ করে রাখবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, নগরীর চৌহাট্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন রশীদ চত্বর ও চন্ডিপুল এলাকায় মাইক্রোবাসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। তবে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে আমরা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। এখন গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রতিনিধি