হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। সিলেটে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুযারি) সকাল থেকে সিলেটের মন্ডপগুলোতে সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে দেখা যায় তরুণ-তরুণী থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রণতি জানাবেন তারা। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন।
‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহ তুতে’ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য দেবী সরস্বতীর অর্চনা করবেন। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সাম্প্রদায়িক বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সিলেটের মন্দিরগুলোর অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
এদিকে, সিলেটে সরস্বতী পূজায় মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার চিঠি দিয়েছে মহানগর পুলিশ। গত রবিবার নগরীর বিভিন্ন মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে মাইক ভাড়া না দিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ শাখার উপ-কমিশনারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের ষষ্টতলায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে পূজা ও শোভাযাত্রা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ঢাক ও ঢোলের মাধ্যমে (উচ্চস্বরে নয়) পূজা মণ্ডপের ভেতরে ও শোভাযাত্রায় সীমিত শব্দে শুধু ভক্তিমূলক গান বাজানো যাবে। মাইক/সাইন্ড সিস্টেম কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিনিধি