ডেস্ক নিউজ :
রোজা বা সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাওয়া বা পান করা এবং সেই সঙ্গে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ। জেনে নিন রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া।
রোজার নিয়ত
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত। মাসআলা: কেউ যদি ছুবহ ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে।
ইফতারের নিয়ত
বাংলায় উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন। অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।
ইফতার–এর সুন্নত আমলসমূহ
খুরমা বা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা সুন্নত। আমাদের নবীজি খুরমা বা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন।
ওয়াক্ত হওয়া অর্থাৎ আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। হাদিসে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে, আল্লাহ পাক বলেছেন- ‘আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে।’ কিন্তু সময় হয়নি এমন অবস্থায় পানাহার করলে ক্বাযা-কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইফতার করার পূর্বে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
কোন রোজাদারকে ইফতার করানো। এটি একটি অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ।
প্রসঙ্গত, সকলকেই সাহরীর ও ইফতারের সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যেনো কোনো অবস্থাতেই সময় কম বা বেশি না হয়। আর তাই অনেক কামেল ব্যক্তিবর্গ মনে করেন সেজন্য সাবধানতার নিমিত্তে সাহ্রী-এর সময় থেকে পাঁচ মিনিট কমিয়ে ও ইফতারির সময় থেকে ১/২ মিনিট বাড়িয়ে সাহরী ও ইফতার করা উচিত। একটি হাদিস শরীফে আছে ইফতার ও সাহরীর ঘোষণার জন্য সাইরেন বাজানো হারাম। তবে ইফতারির জন্য আজান দেয়া আর সাহরীর জন্য মুখে বা মাইকে ঘোষণা দেয়াই সর্বোত্তম।
বার্তা বিভাগ প্রধান