অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করায় মিয়ানমারের পুলিশ তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ সময় অন্তত দু’জন বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি বার্মিজ। সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনের মতো অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর জল কামান এবং টিয়ার গ্যাসও ব্যবহার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশটিতে দেওয়া নতুন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও টানা চতুর্থ দিনের বিক্ষোভ চলছে। সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, কেউই এই আইনের উর্ধ্বে নয়। দেশটিতে বড় জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং রাতে কারফিউ জারি করার ঘোষণা দেন তিনি।
তবে তিনি প্রতিবাদকারীদের জন্য সরাসরি কোনো হুমকি দেননি। যদিও তার বক্তৃতার পরে বার্মিজ রাষ্ট্রীয় টিভিতে একটি সম্প্রচার জানিয়েছে যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে “ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”।
ঐ অঞ্চলের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আকাশে দুইবার সতর্কতা হিসেবে গুলি ছোঁড়া হয় এরপর বিক্ষোভে রাবার বুলেট ছুঁড়ে পুলিশ। এর আগে গতকাল দেশটির সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়, পাঁচ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না এবং সমাবেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনের মতো চলছে আন্দোলন।
আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের প্রধানশহর ইয়াঙ্গনের চাউংয়ে কয়েক ডজন শিক্ষক প্রথমে মার্চ করেন, এ সময় তারা তিন আঙ্গুলে স্যালুট দেখান। আমরা শিক্ষক, আমরা ন্যায় বিচার চাই। সু চিকে মুক্তি দিন বলে শিক্ষকেরা স্লোগান দিতে থাকেন।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী নেপিডোর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ জলকামান ছুঁড়েছে। নেপিডোয় বেশ কয়েকজন লোককে এ সময় আহত হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে মানদালায় অন্তত ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা।
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি।
প্রতিনিধি