সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাছাদেক গ্রামের পল্লি চিকিৎসক রেজাউল করিম হায়াত (৫০) হত্যা মামলায় ২জনকে সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরআগে পুলিশ এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গ্রেফতারকৃত ২জনকে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের বোন মিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। তবে এই হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন বের করতে পারেনি পুলিশ। ইতোমধ্যে লালবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা তদারকি করেও ঘাতকদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ। তিনি জানান, পুলিশ পল্লি চিকিৎসক রেজাউল করিম হায়াত হত্যা মামলায় লালাবাজারের হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের ম্যানেজার প্রাণেশ সরকার ও হোটেল বয় ফয়সলকে সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছে। তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
হত্যার নেপথ্যে কারা রয়েছে সেবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছে।
জানা যায়, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) নগরীর লালাবাজার এলাকা থেকে রেজাউল করিম হায়াত (৫০) নামের এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জের কালাছাদেক এলাকার উত্তর রাজনগর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে নগরীর লালাবাজারের হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্তত একদিন আগে তাকে অন্য কোথাও খুন করে হোটেলের পেছনে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। নিহত রেজাউল করিমের কানের বাম পাশে ছুরি জাতীয় ধারাল কিছুর আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে পিবিআই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
প্রতিনিধি