মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সম্প্রতি নিবন্ধন মাশুল কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছে। মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম হলে রেজিস্ট্রেশন ফি দুই হাজার টাকা হবে। আগে ছিলো চার হাজার ২০০ টাকা। ইঞ্জিনের ক্যাপাসিটি ১০০ সিসির উপরে তিন হাজার টাকা। এরআগে ছিলো ৫ হাজার ৬০০ টাকা। বর্তমানে ১০০ সিসির মোটরসাইকেলের মূল নিবন্ধন ফি ৪২০০ টাকা।
এর সঙ্গে সড়ক করসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দুই বছর মেয়াদের জন্য ১০ হাজার ৫৮৯ টাকা দিতে হয়। আর ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের জন্য মূল নিবন্ধন ফি ৫৬০০ টাকা, অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দিতে হয় ১৩ হাজার ৫৯০ টাকা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ) সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ই অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ-জাপান যৌথ সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি বাজার মূল্যের ১০ শতাংশের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বিআরটিএ ১০০ সিসি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি মোট দামের ৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ১০০ সিসির বেশি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি মোট মূল্যের ৪ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দেয় । একই সঙ্গে সড়ক কর, পরিদর্শন ফি এবং নম্বর প্লেট, ডিআরসি, সম্পূরক কর কমিয়ে ১০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল ৭ হাজার ৫২৯ টাকা এবং ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের জন্য নিবন্ধন ফি ৯ হাজার ৮৫২ টাকা করার প্রস্তাব করে সংস্থাটি।
এদিকে বাংলাদেশ সড়কপরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাবে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩। এর মধ্যে ২০২০ সালেই ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন হয়েছে। সূত্র: মানবজমিন
প্রতিনিধি