ডেস্ক নিউজ : গোয়াইনঘাটে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলাম ২৬ নামের এক যুবক খুন হয়েছে,তিনি হলেন উপজেলার ছাতার গ্রামের ছয়ফুল ইসলামের পুত্র।
শুকবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার লাবু গোচরণ ভূমিতে লাবু-নিজধর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলার এক পর্যায়ে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে বিষয়টি উভয় দলের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় নীজধর গ্রামের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। নীজধর গ্রাম ও লাবু গ্রামের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধ করেছিলেন নিহত নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা। এতে নুরুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হন লাবু ও মেধিহাওর গ্রামের কিছু যুবক।
পরবর্তি -তে এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়। যাহার নং-০৫তারিখ ১৩-০৫ -১৮ইং।এরই জের ধরে ১৫ই মে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টায় স্থানীয় পরগনা বাজারের পশ্চিমে টিয়ার খালের বাসের সাঁকো পার হওয়ার সময় নুরুল ইসলামের উপর দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে নুরুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তার আর্তচিৎকারে শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী এসে আহত অবস্থায় উদ্বার করেন নুরুল ইসলামকে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেন।এঘটনায় থানা পুলিশ জড়িত সন্দেহে ৬জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলওয়ার হোসেন প্রতিবেদককে জানান, নিহত নুরুল ইসলামের উপর দূর্বৃত্তদের হামলার খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পিযুষ ও সঙ্গিয় ফোর্সদের ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেছি। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থেকে ৬জনকে পুলিশ আটক করেছে।
এছাড়াও নিহত নুরুল ইসলামের খুনের ঘটনায় তার মা-বাবা ও আত্বীয় স্বজনসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে।“এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত নুরুল ইসলামের লাশ সিওমেক মর্গে রয়েছে এবং নুরুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার।